
শেখ বাদশা, আশাশুনি থেকে: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরকার সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী স্বল্প ম‚ল্যে খাদ্য শস্য বিতরণ অব্যহত রেখেছে। দেশের গরীব, দুখি, অসহায়, দিনমজুর মানুষ ১০টাকা দরে চাউল ক্রয় করতে পেরে অনেক খুশি তারা। আর এসকল উন্নয়ন ম‚লক কাজে সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবম‚র্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। যেখানে উন্নয়নের শীর্ষে আওয়ামী লীগ সরকার, সেখানে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের সরকারি ডিলার (৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের ডিলার) আলমগীর হোসেন ও তার পিতা নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবম‚র্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
অভিযুক্ত ডিলার পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আশাশুনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অত্র এলাকার ১৯ জন ভুক্তভোগী ডিলারের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ স‚ত্রে জানা যায়, বুধহাটা গ্রামের বাবু দত্তের স্ত্রী কবিতা দত্ত, একই এলাকার সুপ্রিয়া পাইন, উন্নতি পাইন, সঞ্জয় পাইন, পুষ্প রানী দত্ত, মিনি পাইন, জয়ন্ত পাইন চাউলের ডিলার আলমগীরের পিতার কাছে কার্ডের জন্য ১১ হাজার পাঁচশত টাকা দেয়। টাকা দেওয়ার পর ডিলার আলমগীর ও তার পিতা নজরুল ইসলাম তাদের মাঝে একবার ১০টাকা ম‚ল্যের রেশনের চাউল বিতরণ করেন, কিন্তু পরের বার থেকে অদ্যবধি তাদের আর চাউল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগে প্রকাশ। এদিকে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের লম্বাডাঙ্গা-বেউলা গ্রামের মনোরঞ্জন দাস, স্বপন কুমার সরদার, গোলক বিশ্বাস, সতী রানী দাস, গঙ্গা রানী দাস, পলাশ দাস, আরশাদ আলী গাজী ও মালতী রানী দাসের নিকট থেকে রেশন কার্ড দেওয়ার নামে সর্বমোট ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত পিতা-পুত্র। শুধু এখানেই শেষ নয়, চলতি বছরের পহেলা মে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকায় ডিলার আলমগীর ও তার পিতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এব্যাপারে একাধিক ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদককে বলেন, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আলমগীর হোসেন তার পিতাকে হাতিয়ার বানিয়ে ৪টি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের নিকট থেকে কার্ড দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অপর অভিযোগকারী কবিতা দত্ত বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের নিবেদিত প্রাণ। মেম্বার বা চেয়ারম্যান কখনও আমাদের নিকট থেকে কার্ডের জন্য কোন অর্থ দাবী করেননি। কিন্তু অর্থ লোভী ডিলারের গোপন চাপে আমরা ৬জন ১১ হাজার পাঁচশত টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। এব্যাপারে জানতে চাইলে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোসাদ্দেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সরকারের ভাবম‚র্তি ক্ষুন্ন করতে ডিলার আলমগীর ও তার পিতা নজরুল ইসলাম সাধারণ মানুষের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় খাদ্য বান্ধব কর্মস‚চির ডিলার আলমগীর ও তার পিতা নজরুলের চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।