
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দিনভর সরকারি দলের মহড়া। লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে রাস্তায় রাস্তায়। বিকেলে শিববাড়ী মোড়ে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ বড়সড় সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে যায়। মিছিলটি বিএনপির সমাবেশস্থল অতিক্রম করার সময় রাস্তার দুই পাশে থাকা বিএনপির ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়তে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দলবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। সব মিলিয়ে খুলনাজুড়ে উত্তেজনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) ভোরের আলো ফুটতেই দলটির নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোনালী ব্যাংক চত্বরের সমাবেশ অভিমুখে রওনা হন।
খুলনাকে সড়ক ও জলপথে বিচ্ছিন্ন করে রাখা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত শহরে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বহু মানুষের সমাগম হয়েছে। দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিএনপি চারটি দাবি তুলে ধরেছে। (০১) খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি। (০২) নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। (০৩) জ্বালানি তেল ও জিনিসপত্রের দামের উর্দ্ধগতির নিয়ন্ত্রণ। (০৪) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা। সমাবেশকে ঘিরে ছোট ছোট দু-একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও মোটা দাগে শান্তিপূর্ণই হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। পুলিশের তরফ থেকেও খুব একটা বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত পুলিশের সদস্যদেরকে শুধুমাত্র সমাবেশে আগতদের কাছে লাঠি থাকলে তা নিয়ে নিতে দেখা গেছে। তবে তারা সমাবেশে আগতদের কোন বাধা দেয়নি।
নেতাকর্মীরা বলছেন, খুলনা থেকে ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে লঞ্চ ধর্মঘট ও ট্রলার পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে খুলনায় পৌঁছাতে পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারপরও সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত নেতাকর্মীরা।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সমাবেশের সময় থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। এ ছাড়া সমাবেশের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।