নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনারা পুরোপুরিভাবে বিচার বিভাগকে সহযেগিতা করবেন, যাতে আমরা বিচার বিভাগের চাকা আরও গতিশীল করতে পারি। যারা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে ঘোরে তাদের যেন একদিন আগে হলেও বাড়ীতে পাঠাতে পারি। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টায় জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে সমিতির হলরুমে দেওয়া এক সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যখন অভিশাপ দেয় তখন দুটো কথা বলে, হয় বলে তুই দ্বিতীয় বিয়ে কর, না হয় বলে, তোর বাড়ীতে মোকদ্দমা ঢুকুক। মোকদ্দমায় পড়ে মানুষ দিনের পর দিন বছরের পর বছর একদম সর্বশান্ত হয়ে যায়। এটাতো একটা স্বাধীন দেশে হতে পারেনা। আমরা হতে দিতে পারিনা। এই জন্যে ৭১ হয়নি, এই জন্যে ৩০ লক্ষ্য মানুষ জীবন দেয়নি, ২ লক্ষ্য মা-বোন ইজ্জত দেয়নি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রের ৩টি বিভাগ আছে। শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। প্রত্যেকটা অঙ্গ বা বিভাগ যাদি সুষ্ঠুভাবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যান তবে কোন সমস্যা থাকার কথা না। এটা করতে পারলে রাষ্ট্র ও দেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উপস্থিত সকলকে আহবান জানিয়ে বলেন, আসেন আমরা সবাই একসাথে হয়ে বিচার ভিাগকে এগিয়ে নিয়ে যাই এবং এই যে মামলা জট যা আছে সেটা কমানোর চেষ্টা করি।
জেলা আইনজীবী সমিতি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক জিপি এড. শম্ভুনাথ সিংহ এর সভাপতিত্বে এবং পিপি এড. আব্দুল লতিফ ও অতিরিক্ত পিপি অনিত মুখর্জীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোঃ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ূন কবীর, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএমবার, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সিনিয়র আইনজীবী মোঃ গোলাম মোস্তফা ও সাতক্ষীরা ল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সিনিয়র আইনজীবী এস, এম হায়দার।
এর আগে স্মৃতিবিজড়িত সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকী। এরপর বিকাল ৩ টায় তিনি জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচাপ্রার্থীদের মনোরম পরিবেশে বসার জন্য বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন করেন।