অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দ্বিতীয় দিনের মতো ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষামাণ তালিকায় ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে অনশন করছেন ভর্তি ইচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ২০১৯-২০ সেশনে ভর্তি হতে না পারা কিছু শিক্ষার্থী।
বুধবার দ্বিতীয় দিনেও তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। অনশন অবস্থায় কয়েকজন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী পারিবারিক সমস্যার কারণে বাড়ি চলে গেছেন।
অনশনরত শিক্ষার্থী ‘এইচ’ ইউনিটে ৪৪৭ তম মো. হুমায়ুনুল ইসলাম ও ‘ই’ ইউনিটে ১৩০৬ তম মিলন আলী জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন না। তারা জানান অনশনে তাদের শরীল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে তারা কোনো খাবার ও পানি খাচ্ছেন না।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার বলেন, মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়ার পরেও তিনবার অপেক্ষামাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়েছে। তৃতীয়বার অপেক্ষামাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও কিছু সিট ফাঁকা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও রুম সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল তাই ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।
তিনি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের রুম ও শিক্ষক সংখ্যা কম। সে হিসেবে শিক্ষার্থী বেশি। এজন্য ইউজিসি আপত্তি জানিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, রিজেন্ট বোর্ড ও ইউজিসির অনুমতি ছাড়া কিছু করতে পারবো না। তিনি বলেন, আমি নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। তারা স্মারকলিপি দিলে আগামী মাসে রিজেন্ট বোর্ডের সভা বসলে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে, বছর শেষে তাদের তো ভর্তি নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ২৭৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়ার কথা থাকলেও ৮ টি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে মেধা তালিকা প্রকাশের পর ৩টি অপেক্ষামাণ তালিকা প্রকাশের পরও ৪৪৪ টি আসন ফাঁকা রয়েছে।