বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ ২০০৪ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটি’র সভাপতি বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন নিপুর, যুগ্ম সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মিজানুর রহমান সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমি মন্ময় মনির, প্রচার সম্পাদক রূপক হাসান।
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আমি প্রথমে বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী মিজানুর রহমান সজল, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী, উপস্থাপক, নাট্যব্যক্তিত্ব ও কবি শাহাদাৎ হোসেন নিপু, বরেণ্য কবি মুহাম্মদ সামাদ-এর সাথে আলোচনা করেছিলাম। ২০০৪ সালের মার্চের ১১ তারিখে কেন্দ্রীয় কমিটির একটি খসড়া রূপরেখা তৈরী করি। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। ২০০৪ সালের ১৬ মার্চের বিকেল ৫টায় জাতির জনকের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা, কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ পায়।
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ গঠনের পর ২০০৪ সালের ১৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ’-এর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ভবন সংলগ্ন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের পার্শ্বে লেকের পাড়ে প্রথম অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ‘জাতির জনকের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে’- অনুষ্ঠিত আলোচনা, কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে দেশের বরেণ্য কবি, বুদ্ধিজীবী ও আবৃত্তিশিল্পীগণ অংশগ্রহণ করে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক দেশ বরেণ্য কবি সৈয়দ শামসুল হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক সংসদ সদস্য বেগম তহুরা আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-এর তৎকালীন সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ স্যার। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত আবৃত্তিতে অংশ নেন পরিষদের সভাপতি কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন নিপু, যুগ্ম সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মন্ময় মনির। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি নিদিব দস্তিদার, কবি নাসির আহমেদ, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কবি ছড়া-লেখক আসলাম সানী, কবি শাফিকুর রাহী প্রমুখ। বক্তারা জাতির জনকের জন্মদিনে এই শপথ ব্যক্ত করেন যে, ‘একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতিকে সংকটমুক্ত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’।
বাঙালির মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মুক্তচিন্তার পথিকৃত কবি সুফিয়া কামালের নামাঙ্কিত জাতীয় গণগ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তনের অমর্যাদাকর ও ঘৃণ্য উদ্যোগের প্রতিবাদে ২০০৪ সালের ১৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০:৩০ মিঃ থেকে ১১:৩০ মিঃ কবি সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্র, ডাক দিয়ে যাই ও বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ-এই চারটি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন মানব-বন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হক, অধ্যাপক কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, দেশের বিশিষ্ট কবি-শিল্পী-সাংবাদিক-সাহিত্যিক-ছাত্র-শিক্ষক-রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আমি (মন্ময় মনির) বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের পক্ষ থেকে সেই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
২০০৪ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা, স্বরচিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তির আয়োজন করে। অধ্যাপক ড. কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এম.পি.। ‘‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার’’- শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মুজিবনগর সরকারের তৎকালীন সচিব জনাব এইচটি ইমাম। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট লেখক রাহাত খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক স্যার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কবি-ছড়া-লেখক আসলাম সানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন নিপু। স্বরচিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি করেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি নাসির আহমেদ, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, মন্ময় মনির, মিজানুর রহমান সজল প্রমুখ। মূল বক্তব্যে জনাব এইচ টি ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুজিবনগর সরকারের সাফল্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক ও শোষণহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।
২০০৪ সালের ৪ অক্টোবর আমি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ছয়ঘরিয়াতে চলে আসি। ২০০৫ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি সীমান্ত আদর্শ কলেজে সমাজকল্যাণের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। অধ্যাপনার পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় আত্মনিয়োগ করি। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা গঠনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। সে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন নিপু আসেন এবং আমাকে (মন্ময় মনির) সভাপতি ও তৃপ্তিমোহন মল্লিককে সাধারণ সম্পাদক করে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, সাতক্ষীরা শাখায় শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এরপর সাতক্ষীরাতে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের কার্যক্রম চলতে থাকে।
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা ২০১০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ মিলনায়তন, সাতক্ষীরাতে আবৃত্তি কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার মূখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন নিপু। ঐ দিন আবৃত্তি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ও সম্পন্নকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ৩৭ জন প্রশিক্ষণার্থী আবৃত্তি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে মন্ময় মনির। পরিষদের সভাপতি মন্ময় মনিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, সাতক্ষীরার তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. দেলওয়ার হায়দার। ঐ একই দিন কবি শামসুর রাহমান পদক ২০১০ প্রদান করা হয়। মন্ময় মনিরের সম্পাদনায় ‘কীর্তিগাথা’ পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। ৪০ পৃষ্ঠার রঙিন প্রচ্ছদ বিশিষ্ট পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা দেন কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, কবি নূহ-উল-আলম লেনিন, কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবি আসলাম সানী, কবি বিমল গুহ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানে ৪১,০০০/- টাকা বাজেট ধরা হয়েছিলো।
২০১২ সালের ১৬ আগস্ট মন্ময় মনিরের সম্পাদনায়, ৪৮ পৃষ্ঠার ‘কীর্তিগাথা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘কীর্তিগাথা’ পত্রিকার প্রকাশনা উৎসব করা হয়। ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট মন্ময় মনিরের সম্পাদনায় ‘কীর্তিগাথা’-পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ৪৮ পৃষ্ঠার কীর্তিগাথা পত্রিকায় সাবেক মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, এমপি মহোদয়ের বাণী ছাপানো হয়। বিশিষ্ট কবি-লেখকের লেখা ছাপানো হয়- যা বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত। ২০১৩ সালের ১৩, ১৪, ১৫ সেপ্টেম্বর তিনদিনব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে ২২ জন প্রশিক্ষণার্থী আবৃত্তি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। মুখ্য প্রশিক্ষক মন্ময় মনির। সমন্বয়কারী তৃপ্তিমোহন মল্লিক। ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর শেখ হাসিনা উৎসব করা হয়। যার আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান (মন্ময় মনির)। মন্ময় মনিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন যুগ্মসচিব জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন আহম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তৎকালীন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
২০১৪ সালের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭ ফেব্র“য়ারি ৪ দিনব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্র“য়ারি আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৬ মার্চ ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে পুরষ্কার বিতরণী, সার্টিফিকেট বিতরণ ও আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। প্রভাষক মো. মনিরুজ্জামান (মন্ময় মনির)- এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট মন্ময় মনিরের (মো. মনিরুজ্জামান)- এর সম্পাদনায় ৪০ পৃষ্ঠার ‘কীর্তিগাথা’-পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সেই পত্রিকায় সাতক্ষীরা-০২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি-এর বাণী ছাপানো হয়। মন্ময় মনিরের সম্পাদনায় পত্রিকাতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বাণী ছাপানো হয়। স্থানীয় লেখক -কবিদের নিবন্ধ ও কবিতা ছাপানো হয়। ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল মন্ময় মনিরের একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-০১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু উৎসব সাতক্ষীরাতে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। ঐ একই দিন মন্ময় মনিরের সম্পাদনায় ৬৮ পৃষ্ঠার কীর্তিগাথা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধু উৎসব সুসম্পন্ন করা ও কীর্তিগাথা পত্রিকা প্রকাশনা বাবদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা বাজেট ধরা হয়েছিল।
২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী ফয়জুল্লাহ সাঈদ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বেশ কয়েকবার পোস্টার ও হ্যান্ডবিল ছাপানো হয়। ২০১৯ ও ২০২০ সালে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে আবৃত্তি উৎসব ও বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি উৎসবে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে কীর্তিগাথা পত্রিকা প্রকাশের অপেক্ষায়। আগামী মার্চে বঙ্গবন্ধু উৎসব দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ প্রচারে অবিচল এই সংগঠনটি দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। সব্যসাচী লেখক-কবি সৈয়দ শামসুল হকের সভাপতিত্বে ১৬ মার্চ ২০০৪ পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক মো. মুনসুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার ও অজ্ঞাত কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছে। এ জন্যে আমি সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, বার্তা সম্পাদক, স্টাফ রিপোর্টারসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তির এহেনু কাজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
আমি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর রমনা রেজিমেন্টের ক্যাডেট আন্ডার অফিসার হিসেবে ক্যাডেট এ্যাডজুটেন্টের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ বিএনসিসি আয়োজিত কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ শিবিরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। আমি উক্ত কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ শিবিরে প্যারেড ক্যাডেট এ্যাডজুটেন্ট-এর দায়িত্ব পালন করি। ছাত্র জীবন থেকে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। আমি কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। দীর্ঘ প্রায় ৩ দশক ধরে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার নিজ কণ্ঠে দুটি আবৃত্তি ক্যাসেড প্রকাশিত হয়। সাতক্ষীরারে ২বার একক আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি এবং আবৃত্তি পরিবেশন করি। কবি সৌহার্দ সিরাজ আমাকে সাতক্ষীরার শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে মনে করেন। জাতীয়মানের আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে আমাকে নিয়ে তিনি একটি নিবন্ধ লেখেন। প্রায় ২৭ বছর ধরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৯টি গ্রন্থ, লিটল ম্যাগ, সাহিত্য পত্রিকা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পত্রিকা, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনভিত্তিক পত্রিকা রচনা ও সম্পাদনার সাথে সম্পৃক্ত। বিগত ১১দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কাছে সাতক্ষীরা-০১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আমার সুদীর্ঘ সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের ক্ষতিসাধন করার কাজে লিপ্ত। এজন্যে আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় মো. মুনসুর রহমান ও জি এম শাহিদুল ইসলাম রুবেল (কবি রুবেল হোসেন)-এর নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। যার নং-৩৭৯।
আমার পিতা ও মাতা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ছিলেন। তারা ছিলেন সৎ ও কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষ। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যে আমার বিরুদ্ধে কুচক্রী মহলটি অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এজন্যে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।