শেখ রিপজা হোসেন: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের গোবরদারী গ্রামের মৃত: সৈয়দ মোড়লের পুত্র বিল্লাল মোড়ল প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে গোবরদাড়ী সরকারী খাল থেকে অবয়দো ভাবে ড্রেজার ম্যাশিনের মাধ্যমে এলাকার কিছু মাতব্বরদের টাকা দিয়ে সরকারী খালের থেকে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বিল্লাল মোড়ল এমন অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা জাই বিল্লাল মোড়লের নিজিস্ব পুকুর ভরাট করছে। পাশাপাশী চলছে বাড়ির আঙ্গিনা জমি ভরাট করে জমজমাট পোলাটিং ব্যবসা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে এব্যবসা চালিয়ে আসছে যেন দেখার কেউ নেই। বিল্লাল মোড়ল নিজের সুবিধামত মাটি ও বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ফলে কৃষি জমির পরিমানও দিন দিন কমে আসছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে এব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এতে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে প্রতিনিয়ত গাছপালা, বসত বাড়ী ও ফসলী জমিসহ পাউবোর বেড়ী বাঁধ নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ছে। ওই সব অসাধু ব্যক্তিরা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে সড়ক, স্কুল-কলেজের মাঠ ভরাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা কাজে প্রতি ঘনফুট দুই থেকে আট টাকা দরে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কোন কোন স্থানে আবার রাস্তার উপর ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে পাইপ বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সহ দূর্ঘটনাও ঘটছে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মাটির নিচেরস্তর ফাঁকা হওয়ার কারনে ভূমিকম্পে এসব এলাকা ধবংস হয়ে যেতে পারে এমন আশংঙ্কাও করছে এলাকার সচেতন মহল। এদিকে কথিত ঠিকাদার বা ব্যবসায়ীরা ওই নিম্ন মানের বালু দিয়ে : চালিয়ে যাচ্ছে সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনার কাজ। অপরদিকে মাটি ও বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কথিত ওই সব ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হলেও কখনো প্রতিকার হতে দেখা যায়নি। বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গৃহীত হয় তার বিহীত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে প্রশাসনের কাছে এলাকার সচেতন মহল ।
ফিংড়ীর খাল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে চলছে রমরমা ব্যাবসা
পূর্ববর্তী পোস্ট