নিজস্ব প্রতিবেদক: অসহায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোমেনা খাতুন অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছে। শীতের মধ্যে কাঁচা ঘরের বাঁশের বেড়ার মধ্যে দিন-রাত অতিবাহিত হচ্ছে। ৫৪ বছর বয়স হলেও মেলেনি সরকারী সহায়তা। খাওয়ার কষ্ট সহ নানান অসুখে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় অনেক কষ্টে দিন পার হচ্ছে মোমেনার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের বাপ,মা হারা এতিম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোমেনা খাতুন সরকারী সাহায্যের আকুতি করেছে। জানা যায়, বালিথা গ্রামের মৃত আয়জদ্দী সরদারের কন্যা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোমেনা (৫৪) তার গরীব ভাই আছের আলীর সংসারে অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। সে জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বামী সংসার তার কপালে জোটেনি। ভাই তাদের সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু সন্তান,স্ত্রী নিয়ে ভাই আছের আলী নিজে অনেক কষ্টে কোন রকম দিন পার করে। তার উপর আবার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বোন তার সংসারে তার মাথার উপর। তিন বেলা তাদের মুখে ঠিক মত ভাত জোটে না। কখনও খেয়ে না খেয়ে কোন মতে তাদের দিন চলে যায়। কন্যা মোমেনা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সরকারী কোন অনুদান পায় না। মোমেনা খাতুনের ৩ ভাই। আবুল কাশেম ও ইশার আলী গরীব হওয়ায় তারা মোমেনার কোন খোঁজ নেয় না। সে তার মেঝো ভাইয়ের সংসারে বড় বোঝা হয়ে পড়েছে। তাকে দেখার জন্য তার গরীব মেঝো ভাই আছের আলি ছাড়া এ জগত সংসারে তার আর কেউ নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মোমেনা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। বোনের কারণে গরীব ভাইয়ের কষ্ট বেড়ে চলেছে। তাই বুদ্ধী প্রতিবন্ধী মোমেনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সাহায্যের আকুতি করেছেন।
ফিংড়ীতে ৫৪ বছর বয়সেও মেলেনি বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর ভাতা কার্ড
পূর্ববর্তী পোস্ট