
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ির চিহ্নিত চাঁদাবাজ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী শাহীন ও মিজানুর কর্তৃক হারির শর্তে জমি গ্রহণ করে হারি না দিয়ে উল্টো উক্ত সম্পত্তি নিজের দাবি করে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ করেন ফিংড়ী হাবাসপুরগ্রামের মৃত. তোফাজ উদ্দীনের পুত্র নাছির উদ্দীন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি হাবাসপুর মৌজায় খতিয়ান নং- ১৩৬, দাগ নং- ১০২, জমির পরিমান ২৫ শতক। দাগ নং- ১২৬, জমির পরিমান ১৭ শতকসহ মোট ৪২শতক সম্পত্তির খরিদ সুত্রে মালিক। উক্ত সম্পত্তিতে ঘের করার শর্তে একই এলাকার মৃত. ময়নুদ্দীন সরদারের পুত্র শাহিন ও মিজানুর রহমান কে বাৎসরিক হারি দেওয়ার শর্তে মাছ চাষের জন্য লীজ প্রদান করি। সে অনুযায়ী শাহীন ও মিজানুর রহমান ২০১৫ সাল হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সঠিকভাবে হারির টাকা প্রদান করেন। কিন্তু ২০১৮ ও ২০১৯ সালের হারির টাকা পরিশোধ করেনি। তার কাছে উক্ত টাকা চাইতে গেলে শাহিন ও মিজানুর টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে উক্ত সম্পত্তি ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিক দাবি করে। এঘটনায় আমরা নিরূপায় হয়ে ন্যায় বিচারের দাবিতে ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করি। চেয়ারম্যান তাদের বার বার নোটিশ প্রদান করলেও তারা হাজির না হওয়ায় আমাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুর রহমান। অথচ উক্ত সম্পত্তি বিগত প্রায় ৪০/৫০ বছর পূর্বে খরিদ করে বিনিময় সূত্রে ভোগদখলে আছি। এদিকে জমি বিনিময়কারীরা ০৫/০১/২০২০ তারিখে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় হতে এফিডেভিড করে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও উল্লেখিত চাঁদাবাজ, পরসম্পদ লোভী শাহিন ও তার ভাই মিজানুর রহমান আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে রেখে হারির টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন।
উক্ত শাহীন আমাদের হয়রানি করার জন্য ঘেরে মাছ ধরে নিয়ে সামান্য পানি রেখেছে। পরবর্তীতে কিছু মরা মাছ পানিতে ছড়ায়া দিয়ে তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে মর্মে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছেন। তার চক্রান্তে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
উক্ত শাহীন আলম একাধিক বিবাহের নায়ক। নিজের প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জেল হাজত খেটেছে। এছাড়া এক সময়ের সাতক্ষীরার স্থানীয় একটি পত্রিকার পরিচয় ব্যবহার করে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে অত্র এলাকায় চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনে করে হয়রানিসহ নানা অপকর্ম চালাতে থাকে। এছাড়া শাহিন আলম বুধহাটা গ্রামের মেজবাউদ্দীনের স্ত্রীকে ১ কন্যা সন্তানসহ ফুলিয়ে বিবাহ করে। কিছুদিন পর তালার খেরশা গ্রামের আরেক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে। পরে বিবাহ করে। এনিয়ে বিরোধী সৃষ্টি হলে উকুন মারা বিষ খাইয়ে ওই স্ত্রীকে হত্যা করে। এছাড়া হাবাসপুর গ্রামের মহাদেব ঘোষ ও প্রদীপ ঘোষের নিকট ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। যার মামলা নং- ৫৪/১৭। একই গ্রামের মালেকৈর দ্বারা থানায় অভিযোগ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কুলতিয়া গ্রামের অরবিন্দু ঘোষের নিজের লাগানো গাছ কাটতে গেলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়া অসংখ্য অভিযোগে ফিংড়ী ইউনিয়নের মানুষকে অতীষ্ট করে তুলেছে। এঘটনায় আমরা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব-৬, খুলনা ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা উক্ত চাঁদাবাজ শাহীন ও তার ভাই মিজানুরের হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি উদ্ধার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।