
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের মুরাদ হোসেন ঢাকায় বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ২৩ এপ্রিল আশাশুনির কুল্যা ব্রীজ এলাকায় একদল কিশোর গাং মুরাদকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে টাকা ছিনতাই করে। পরে আহত মুরাদকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরোয়ার্দী হাসপাতাল এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মুরাদ হোসেনের মা রেহেনা খাতুন সাতনদীকে বলেন এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কুল্যা গ্রামের সরকারি গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করেন তিনি। সম্প্রতি কুল্যা গ্রামে নানাবাড়ি বসবাসকারী আলম সরদারের ছেলে রানা হোসেন, একই গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, শামসুর সরদারের ছেলে সাইদুল্যাহ সরদার মিলে তার ছেলেকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে টাকা ছিনতাই করে। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন বলে জানান তিনি। কুল্যা শাহাজী পাড়ার একাধিক বাসিন্দা সাতনদীকে বলেন বহু অপকর্মের হোতা এই রানার পিতা আলম সরদার। ইতি পূর্বে একাধিক মামলা ও অপকর্মের ঘটনায় তাকে কুল্যা গ্রামে স্থায়ী বসবাসের জন্য নিষেধ করা হয়েছে। ফলে তিনি বর্তমানে যশোরে বসবাস করলেও তার মাদকাসক্ত ছেলেকে কুল্যায় রেখে বিভিন্ন মাধ্যমে সে তার দৈনন্দিন অপকর্ম অব্যহত রেখেছে। চুরি, ছিনতাই, জমি দখল, হামলা, মামলা এ যেন তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। কুল্যা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন সাতনদীকে বলেন আলম ও তার ছেলে রানা হোসেনের কিশোর গাংদের বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই প্রতিবাদকারীর নামে যশোর জেলা আদালতে বিভিন্ন কল্প কাহিনী সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এই আলম সরদার। ভয়ে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে অনেকেই।
সোহরাব হোসেন আরও বলেন এলাকার দানবীর ব্যক্তিদের নিকট থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে মুরাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত মুরাদের পিতা আব্দুল মজিদ শাহাজী তার ছেলের উপর হামলাকারী কিশোর গাংদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মাজেদ গাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাতনদীকে বলেন ঘটনার পর আমি আহত মুরাদ হোসেনকে দেখতে গিয়েছিলাম এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতাও করেছিলাম। অন্যদিকে হামলার শিকার মুরাদ হোসেনের পরিবারকে চিকিৎসা সহযোগিতা না করে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুরাদের পরিবার। ছেলের উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে মা রেহেনা খাতুন বলেন বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে মুরাদের ডেন্টাল সার্জারী করা হয়েছে এবং আগামী ১৪দিন পর পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় অসহায় গরীব পরিবারের সন্তান মুরাদ হোসেনের চিকিৎসা সহায়তা পেতে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ কামনা এবং ছেলের উপর অতর্কিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অসহায় ভুক্তভোগী পরিবার।