
আব্দুর রশিদ: সাতক্ষীরা সদরের পৌরসভায় আয়েনউদ্দীন মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগে ৮লাখ টাকা নেওয়ার প্রমান পাওয়া গেছে। এছাড়ও পূর্বেও ৫লাখ টাকা নিয়ে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ করেছে আরও একজন ভুক্তভোগী।
সাতক্ষীরা সদরের পৌরসভায় আয়েনউদ্দীন মহিলা মাদ্রাসার চলমান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগের পর এবার পাওয়া গেছে ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগের জন্য টাকা লেনদেনের স্বাক্ষ্যপ্রমান। মাদ্রাসার সুপার ও সুপারের সাথে জড়িত কয়েকজন শিক্ষক এ লেনদেনের সাথে জড়িত। ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগে প্রিন্সিপাল ১২ লাখ টাকা চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৮ লাখে আব্দুল আলিমকে নিয়োগ দিতে রাজি হয়। মোঃ রাশেদুজ্জামান অভিযোগ করেন যে, ‘মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার দুই সপ্তাহ আগে আমার দোকানে বসে হাসান হুজুর, রুহুল আমিন সুপার, আব্দুল আলিম ও মোতাহার হুজুর সবাই মিলে ১২ লাখ টাকার লেনদেনের কথা বলেছিলো এবং এ সংক্রান্ত আলোচনা করেছিলো। কিন্তু আব্দুল আলিম ৮লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। সেই টাকা আমার দোকানে বসেই লেনদেন হয়।’
স্থানীয় মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমার স্ত্রী ছফুরা খাতুনকে মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মাচারী নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা সুপার ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। সে মোতাবেক আমার স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়। দুই বছর কোন বেতন না দিয়ে চাকরি করাতে থাকে। পরে আমার স্ত্রীকে মাদ্রাসা থেকে কোন কারন ছাড়াই বের করে দেওয়া হয়। পরে মাদ্রাসা সুপারের কাছে টাকা চাইলে সে বলে আমার ছেলেকে নিয়োগ দিয়ে দিবে। কিন্তু আমার ছেলেকেও নিয়োগ দেয়নি।
আয়েনুদ্দীন মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল রুহুল আমিন এসব বিষয় জানান, ‘সব মিথ্য ও বানোয়াট অভিযোগ।’