অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক স্তরের পাঠদান টেলিভিশনে প্রচারের লক্ষ্যে ভিজ্যুয়াল তৈরি করা হচ্ছে। সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অনলাইন পোর্টালে এই ভিজ্যুয়াল ক্লাস সম্প্রচার করার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও শিগগিরই প্রাথমিক স্তরের ক্লাস সম্প্রচার শুরু করবে।
এ মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সময়কে বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিশুদের ক্লাসের পাঠদান একটু ভিন্ন হবে। শিশুরা যেন সহজে আয়ত্ত করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, শিগগিরই ক্লাস সম্প্রচার শুরু করব। তিনি আরও বলেন, সংসদ টেলিভিশনে এ ক্লাস সম্প্রচারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রচার করব। আমরা দৈনিক চার ঘণ্টা সময় চেয়েছি। গত রবিবার থেকে সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ-দশম শ্রেণি) ক্লাস শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস পরিচালনার দাবি ওঠে অভিভাবক মহল থেকে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, আমরা দক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে ভিজ্যুয়াল পাঠদান তৈরি করছি। এগুলো শিশুদের উপযোগী করে এডিট করা হচ্ছে। এডিট শেষ হলে রুটিন প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, শিগগিরই টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু করতে পারব।
তিনি বলেন, সংসদ টেলিভিশনে মাধ্যমিকের ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্প্রচারে যেতে পারি। আমাদের লক্ষ্য আছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের। এটি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করছি। এসব ভিজ্যুয়াল ক্লাসের ভিডিও একটি অনলাইন পোর্টালে সংরক্ষণ করা হবে। ইউটিউবেও সংরক্ষণ করা হবে। যেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা যে কোনো সময় তা দেখতে পারেন।
ক্লাসগুলো দেখে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্কুল খোলার পর তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। বাড়ির কাজের ওপর প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা। মো. ফসিউল্লাহ বলেন, প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হতে পারে। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না, পরীক্ষা নেওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।