
স্পোর্টস ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন হাসান মাহমুদ। তার তোপে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য ১০২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) টাইগার পেসারদের তোপে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি আয়ারল্যান্ডের। সফরকারী শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্টেফেন দোহেনি। হাসানের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮ রানে আউট হন স্টেফেন। দোহেনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে। পরের উইকেট শিকারিও হাসান। দলীয় অষ্টম ওভারের শুরুতেই তিনি নেন পল স্টার্লিংয়ের উইকেট। ফুল লেংথের এক ডেলিভারিতে বল পায়ে লাগার পর স্টার্লিং রিভিউয়ের আবেদনই করেননি, ফিরে যান প্যাভিলিয়নের পথে। আইরিশ ওপেনার ১২ বলে করেন ৭ রান।
একই ওভারে হাসান শূন্য রানে হ্যারি টেক্টরকেও তুলে নেন। পেসারদের সেই দাপট অব্যাহত থাকে তাসকিন বল হাতে নিলে। টেক্টর ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ শিকার করেন অ্যান্ড্রু বালবার্নির উইকেট। ১৮ বলে বালবার্নি করেন ৬ রান। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আয়ারল্যান্ড চাপ সামাল দিচ্ছিল কার্টিস ক্যাম্ফার ও লর্কান টাকারের ব্যাটে। তারা প্রায় অর্ধশত রানের জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই টাকারকে শিকারে পরিণত করেন এবাদত হোসেন।
পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেন এবাদত, তাতে আয়ারল্যান্ডের ৪২ রানের জুটি ভাঙে। প্রথমে টাকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে পরের বলে জর্জ ডকরেলকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশি পেসার। টাকার ৩১ বলে করেন ২৮ রান। ডকরেল নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। পরের ওভারে তাসকিন বল করতে এসে তুলে নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে। একই ওভারে তিনি মার্ক অ্যাডারের উইকেটও পান।
বিধ্বস্ত আয়ারল্যান্ডের হাল ধরে খেলছিলেন ক্যাম্ফার। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার পরাস্ত হন হাসান মাহমুদে। ৩৬ রানে তাকে তাসকিনের ক্যাচ বানান মাহমুদ। আইরিশদের সবশেষ উইকেটটিও যায় হাসানের ঝুলিতে। তাতে ওয়ানডে তো বটেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন ডানহাতি পেসার, বিনিময়ে রান দিলেন ৩২। এ নিয়ে ৮ ম্যাচে তার ওয়ানডে উইকেট হলো ১৩টি।