
জগন্নাথ রায় : আশাশুনিতে ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের নতুন নয়। ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে চাঁদার টাকা না পেয়ে সরকারি কর্মকর্তাকেও মারপিট করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমন কি কেউ সমালোচনা করলে তাকেও রাস্তাঘাটে ধরে বেধড়ক মারপিট করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইন। আ.লীগের উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের আর্শিবাদ পুষ্ট আসমাউল হুসাইন মদদ পেয়ে হয়ে উঠেছেন বেপোরোয়া।
আশাশুনি সদরের রফিকুল রাজমিস্ত্রীর ছেলে আসমাউল হুসাইন। পরিবার আওয়ামী সমর্থক। ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়েই হয়ে উঠেন বেপোরোয়া। ঘরবাড়ির অবস্থা ভালো না থাকলেও বর্তমানে দোতলা বাড়ি তৈরী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির তৈরীর জন্য সংগ্রহ করা ইটের টাকাও দেয়নি ছাত্রলীগের এই সভাপতি। হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা পরিশোধ হয়েছে।
আশাশুনি সাব রেজিষ্ট্র অফিসের হেড ক্লার্কের কাছে সাপ্তাহিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হুসাইন। সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাকেও এই টাকা দেওয়ার জন্য সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় হেড ক্লার্কের মাধ্যমে। তবে চাঁদার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হেড ক্লার্ককে অফিসের মধ্যে দলবল নিয়ে মারপিট করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। সেই সঙ্গে ঘটনার দিন অফিস থেকে জমি রেজিষ্ট্রির দুই লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করা হয়।
জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য স্বামী-স্ত্রী দুইজন উঠেন আশাশুনির আলীম হোটেলে। তাদের ধরে মারপিট করে ১০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেন ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল। সেটেলমেন্ট অফিস থেকেও নিয়মিত নেন মাসোয়ারা। আশাশুনি থানার সামনে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমকেও মারপিট করে বেপোরোয়া এই ছাত্রলীগ সভাপতি। যে ঘটনার মামলা এখনো চলমান। তার কাছে গাজা ও ফেন্সিডিল পাওয়ায় আশাশুনি থানায় একটি মামলা হয় সেই মামলাটিও চলমান।
চাপড়া এলাকার ধনী পরিবার হোসেন চেয়ারম্যানের মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে এই ছাত্রলীগ সভাপতি। ব্যবসায়ী কামালের ভাইয়ের দোকানে বিয়ে নিয়ে আলোচনা হওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারপিট করা হয়। পিটিয়েছে সালাম দর্জির ছেলেকেও।