সংবাদদাতা:
টানা ৪দিন বৃষ্টিতে পাটকেলঘাটার নি¤œ অঞ্চল প্লাবিত। ৫টি ইউনিয়নের ৩৫টি বিলের ছোট বড় মিলে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। আমন ধান ও সবজির খেত নষ্ট সহ এলাকার প্রায় শত শত কাঁচা ঘর বাড়ী প্রবল পানির আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলেও উপরের পানির চাপে বিলগুলো থৈ থৈ করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, অতি বৃষ্টিতে পানির চাপে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শাঁকদহ ব্রিজের পশ্চিম পাশের রাস্তার কানাই কানাই পানি। যে কোন মুহুর্তে যান চলাচল বন্ধ হতে পারে। বঙ্গপসাগরে সৃষ্টি নি¤œ চাপের প্রভাবে গত ৪দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে গোটা পাটকেলঘাটা এলাকায় শত শত কাঁচা ও পাঁকা রাস্তা পানির নিচে।
নিচু এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের বাড়ী ২-৩ ফুট পানির নিচে। নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রাইমারী স্কুল ও সাইক্লোন সেন্টারে। পাটকেলঘাটা থানার ৫টি ইউনিয়নের ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা ও খলিষখালীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মৎস্য চাষ হয়ে থাকে নগরঘাটা বিল, আসাননগর, কাপাসডাঙ্গা, মিঠাবাড়ী, শাঁকদহ, যুগীপুকুরিয়া, তৈলকুপী, চোমরখালী ও দলুয়া গাছা বিলে। শাঁকদহ এলাকার মৎস্য চাষি মুনছুর আলী ও হাজী সিরাজুল সরদারের কাছে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য চাষাবাদ করি।
এছাড়া মাছের খাবারের দোকানেও জমে আছে অনেক বাকী কিন্তু অতি বৃষ্টিতে আমাদের ঘের ভেড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বাগদা চিংড়ি, গলদা চিংড়ি সহ সব সাদা মাছ ভেসে অন্যত্র চলে গেছে। এখন এই পাহাড় সম ঋণ পরিশোধ করবো কি করে আর সংসারই চালাবো কি করে? এব্যাপারে এলাকাবাসী জানিয়েছে এ বছর রেকর্ড পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে সাথে দমকা ঝড়ো হাওয়া।
গত শনিবার থেকে ৩ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অতি কষ্টে দিন যাপন করেছে। তবে বৃষ্টির ফলে মাছ ধরার উৎসব দেখা গেছে এলাকায়। অনেকে পাকা রাস্তার উপরেও জাল দিয়ে মাছ ধরছে যার ফলে মহাসড়কে যান চলাচল ছিল খুবই সিমিত। ইজিবাইক ও মটরভ্যানের দেখা মিললেও নেই কোন যাত্রী।