হাফিজুর রহমান,কালিগঞ্জ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরী মা হয়েছেন। কিশোরীর একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব হয়েছে। বর্তমানে মা ও সন্তান উভয়ই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মিলছে না বাবার সন্ধান। পুলিশ খুজছে এই সদ্যজাত সন্তানের বাবা কে ? একই ঘটনা গত ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যায় সন্তান সম্ভাবা ১৪ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত কিশোরীকে রবিউল ইসলাম নামে এক জনৈক ব্যক্তি কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসাবের জন্য ভর্তি করেন। সে হাসপাতালে থাকলেও মানসিক ভারসাম্য হাসপাতাল চত্ত্বর ও রাস্তা হাসপাতালের কোয়াটারে পিছনে ঘোরাঘুরি করে আবার হাসপাতালে চলে আসে।
মানসিক ভারমস্যহীন কিশোরী তরুনী মাধবী আক্তার (১৪)। তার তথ্য মতে তাদের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামে। বাবার নাম শ্যামপদ। এছাড়া আরও এক পাগলী কিশোরী হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের অপেক্ষায় রয়েছে। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সন্তান জন্ম দেওয়া কিশোরী কালিগঞ্জের মাছ বাজার ও বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘোরাফেরা করতো। অজ্ঞাত অপর কিশোরী ঘোরাফেরা করতো কালিগঞ্জ সদরের বিভিন্ন এলাকায়।
কালিগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তার পাশে প্রসব বেদনায় ছটফট করছিল ওই কিশোরী। ঘটনাটি দেখে গত ১৭ আগষ্ট স্থানীয় একজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ভর্তির পর ওই দিনই তার একটি কন্য সন্তান প্রসব হয়। ফুটফুটে সন্তানটিকে পাগলী মহারানি বলে ডাকছে। মূলত. ওই কিশোরী মানসিক ভারসম্যহীন রোগী। তার নাম পরিচয় যেটি বলেছে সেটিও নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, গত ১২ দিন আগে সন্তানটি জন্মানোর পর হাসপাতাল থেকেই তাদের খাদ্য খাবার, ওষধপত্রসহ সার্বিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমান জানান। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া আরেকটি মানসিক ভারসম্যহীন তরুনীকে ২৪ আগষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। তিনিও গর্ভবতী। যে কোন সময় তারও সন্তান প্রসব হবে। তবে এই তরুনীর নাম পরিচয় এখনো কিছুই জানা যায়নি। এই পাগলীকে নিয়ে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের বেড ছেড়ে এখানে সেখানে চলে যাচ্ছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাছাড়া এই ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি। খোঁজা হচ্ছে এই সদ্যজাত সন্তানের বাবা কে ? এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।