
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় হাফিজিয়া মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার ছাত্রকে বেত্রাঘাত ও পা দিয়ে পাড়ানোর অভিযোগ পাওয়াগেছে। এঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ ঐ শিক্ষককে আটক করেছে। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী আহত শিক্ষার্থীকে দেখে এ ঘটনায় অপরাধীদের আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান।
জানা যায়, উপজেলার বৃত্তি গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল মান্নান বিশ্বাসের পুত্র মেহেদী হাসান (১২) পুরাইকাটি জামে মসজিদ সংলগ্ন হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। গত রবিবার ভোরে আরবি পড়া না পারায় শিক্ষক শরিফুল ইসলাম কাগজী বেত দিয়ে তার বুকে, পিঠে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। আঘাত সইতে না পেওে মেহেদী ঢলে পড়ে গেলে, শিক্ষক শরিফুল কাগজী মেহেদীকে লাথি মেরে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে গুরুতর জখম করে। মেহেদীর বাড়ীর লোকজন ঘটনা জানতে পেরে আহত অবস্থায় মেহেদীকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী সোমবার বিকালে হাসপাতালে মেহেদী হাসানকে দেখতে যায়। মেহেদী হাসানের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখে বলেন, উক্ত শিক্ষককে এ ঘটনায় আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
আহত মেহেদীর পিতা ভ্যান চালক আব্দুল মান্নান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। ছেলের চিকিৎসার টাকা পাব কোথায় ? প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ মাদরাসা শিক্ষককে আটক করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেছে বলে ওসি মোঃ এমদাদুল হক শেখ জানান।