
নিজস্ব প্রতিবেদক ঝাউডাঙ্গা থেকে ফিরে:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ১১ নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্রি বার্ষিকী সম্মেলন এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রুপ নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মিদের সাথে সরাসরি কথা বলে জানা গেছে। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এস এম শওকত হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র নাথ ঘোষের কারনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নেতা কর্মিরা জানিয়েছেন প্রতিটি ওয়ার্ডে জামায়াত ও বিএনপি এমনকি নাশকতা মামলার আসামীদের তালিকায় স্থান দেওয়ার ফলে। এক প্রকার সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটেছে। মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মিদের দাবি এস এম শওকত হোসেনের বর্তমানে কোন চেয়ার না থাকায়। তিনি চেয়ার দখলের জন্য জামায়াত ও বিএনপিদের কে দলের মধ্যে ঢুকিয়ে আদিপত্য বিস্তর চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ আগামী আওয়ামী লীগের ইউনিয়নের সম্মেলন কে সামনে রেখে নিজের চেয়ার ধরে রাখার জন্য জামায়াত ও বিএনপির মাঝে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকিট দিয়ে তার পদ টেকিয়ে রাখার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রয়েছে অফিসের দির্ঘদিনের হিসাব নিকাশ সহ নানান অভিযোগ যাহা আগামীতে প্রকাশ করা হবে। অপর দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতির বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় পরিমান অভিযোগ। তিনি ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্টাতা দাবি করে। তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি তার নিজের এক আত্মীয় ওই কলেজ শিক্ষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহর হামলা মামলার আসামী। সাধারণ নেতা কর্মিরা আরো জানিয়েছেন। এই দু জন আওয়ামীলীগ নেতার বৈরি আচারনের কারনে সদর উপজেলা ঝাউডাঙ্গা আওয়ামী লীগ আজ ধ্বংসের রুপ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত : গত ৫ মার্চ ৩ নং হাজিরপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এক সময়ের শিবির কর্মি সিদ্দিকুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট করার চেষ্টা করলে স্হানীয় নেতা কর্মিরা তাহা রুখে দেয়। ওই ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক পদে দু,জন প্রার্থী হন। অপর প্রার্থীর নাম মনিরুল ইসলাম। এছাড়া সাবেক এই নেতা আগে থেকে এই দু,জনের নাম ব্যালট পেপার সীল তৈরি করে এনে জোর করে ভোট করানোর চেষ্টা করে। যা বিষয়টি সম্পুর্ন সাজানো নাটক বলে নেতা কর্মিরা জানান। অনেক নেতারা জানিয়েছেন প্রার্থী আরো বাড়লে তিনি কি করতেন? এছাড়া আরেক প্রার্থী সিদ্দিকুল ইসলামের আপন দু ভাই নাশকতা ও পুলিশের উপর হামলা মামলার আসামী। এর মধ্যে মনিরুল ইসলাম (রং মিস্ত্রি) নামে আওয়ামী লীগের কুড়ি টাকার ফরম দিয়ে সদস্য ও ভোটার বানিয়েছেন। এবং ওই ওয়ার্ডের দু শত জনের আওয়ামী লীগ এর তালিকায় রয়েছে ১৫ জনের অধিক জামায়াত ও বিএনপির নাম এদিকে দৈনিক সাতনদীতে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ প্রশাসন ও জেলা উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতারা নড়ে চড়ে বসতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। পাঠক আগামী পর্বে চোখ রাখুন সাতনদীর পাতায়। সাবেক এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে জামায়াতের এই পরিবারকে সহযোগিতা করা সহ নানা কু কর্মের চিত্র তুলে ধরা হবে। চলবে,,,,