নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় স্বামী শেখ শরিফুল ইসলাম জেল হাজতে থাকার সুযোগে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন তার স্ত্রী ফতেমা আক্তার খুশি । তবে স্বামী জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবরে আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার নিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুর সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালেন ফতেমা আক্তার খুশি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী শেখ শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৬ জানুয়ারি সাতক্ষীরার বিজ্ঞ ১ নং আমলী আদালতে সদরের গড়ের কান্দার আমিন মোড়লের মেয়ে ফাতেমা আক্তার খুশি (৩২) কে ০১নং.আ্সামী ও ০৪নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের অজিত অধিকারীর ছেলে লিটন অধিকারী (৩৮) কে ০২নং আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ।
মামলার বিবরণে জানা যায়,শরিফুল ইসলাম জন্মগত ভাবে অনেকটা ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তর খুশির কথা মত চলতো । ফাতেমা আক্তর খুশি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শরিফুল ইসলামের পৈতৃক সম্পত্তি,শরিফুল ও খুশির নামে যৌথ ব্যাংক হিসাবের টাকাও খুশির একক নামে করিয়ে নিয়ে । ০২নং আসামী লিটন অধিকারী ফাতেমা আক্তর খুশির ঘনিষ্ঠ বন্ধু । আসামী লিটন অধিকারী ফাতেমা আক্তর খুশির বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করিতো। শরিফুল ইসলাম একটি ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় দীর্ঘদিন যাবৎ জেলে থাকায় সুযোগ বুঝে লিটন অধীকারী ফাতেমা আক্তর খুশির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ।
এদিকে শরিফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা শরিফুলকে আদালতের মাধ্যমে জামিন করিয়ে আনবেন এমন খবর পেয়ে ফাতেমা আক্তর খুশি শরিফুল ইসলামের সংরক্ষিত আনুমানিক দুইলক্ষ টাকার স্বর্নোলংকার, একলক্ষ টাকার আসবারপত্র শরিফুল ইসলামের চেকবইও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে লিটন অধিকারীকে নিয়ে ১০ই জানুয়ারী আনুমানিক সকাল ০৯টার‘দিকে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় ।
এদিকে গত ১৫ জানুয়ারি শরিফুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তর খুশিকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখঁজির পর ০২নং সাক্ষী মুনজিতপুর গ্রামের মৃতঃ মোসলেম সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারে ফাতেমা আক্তর খুশি ও লিটন অধিকারীকে একটি মটরসাইকেলে যেতে দেখেছে সে । তখন শরিফুল ইসলামের সন্দেহ হলে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় আলমারীতে কোন জিনিসপত্র নেই ।
কি করবে কিছু বুঝতে না পেরে শরিফুল ইসলাম পরদিন মুনজিতপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, ও সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কুকরালী গড়ের কান্দায় ০১নং আসামি ফাতেমা আক্তর খুশির বাড়িতে যেয়ে তার পিতা আমিন মোড়লের সাথে ঘটনা বর্ণনা করিলে তিনি জানান ফাতেমা আক্তর খুশি আর শরিফল ইসলামের সাথে সংসার করবে না । ফাতেমা আক্তর খুশি লিটন অধিকারীর সাথে বিয়ে করেছে । তখন শরিফুল ইসলাম এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে থানায় একটি অভিযোগ করিলে থানা কতৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। সে অনুপাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার পিছনের ঘটনা জানতে চোঁখ রাখুন সাতনদীতে।