
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সখিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্মল কুমার মন্ডলকে পিটিয়ে জখম করেছেন সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। ১০ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈদগাহ বাজারে চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন নির্মল মেম্বার কে পিটিয়ে জখম করেন।
নির্মল মেম্বার কামটা গ্রামের কানাই লাল মন্ডলের ছেলে। তিনি সখিপুরের ৬নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্যের পাশাপাশি উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
মারপিটের শিকার নির্মল মেম্বার বলেন, আমি সখিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের একজন নির্বাচিত মেম্বার। রতন চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে সখিপুর ইউনিয়নে স্বজন প্রীতি সহ নানা দূর্নীতি-অনিয়ম করে চলেছে। আমি তার ( চেয়ারম্যান) দূর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদ করায় পূর্ব থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল রতন চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি আমার নির্বাচিত এলাকা ঈদগাহ বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন বাস্তবায়নে ঈদগাহ বাজারে প্রশাসন নির্ধারিত সময় মেতাবেক জরুরী সেবা ব্যাতীত অন্যান্য দোকানপাট বন্ধের কথা বলি।
কারণ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। আমি ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হওয়ায় উক্ত কমিটির আহ্বায়ক ।
আমি দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেছি কথাটি রতন চেয়ারম্যান তার ঘনিষ্ট কিছু দোকানদারের কাছ থেকে শুনে পূর্ব বিরোধে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঈদগাহ বাজারে আমাকে খুঁজতে থাকে।
একপর্যায়ে তাহেরা ফার্মেসির সামনে আমাকে পেয়ে চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন সহ তার পোষ্য বাহিনী আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে পিটিয়ে জখম করে।
আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, জেলা কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করি। এব্যপারে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। নির্মল মেম্বার আমার নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধে কাজ করছিলেন। তবে এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেন ঘটলো সেটি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, মারপিটের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।