
কালিগঞ্জ ব্যুরো: বাঙালী জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন একটি দেশ, একটি লাল সবুজের পতাকা। আর সেটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিলো। আর পাক-হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা দামাল ছেলেরা পাক হানাদার বাহিনীর সেনাদের হটিয়ে ১৯৭১ সালে ২০ নভেম্বর কালিগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। গতকাল ছিলো কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধাদের সে অহংকারের কালিগঞ্জ মুক্ত দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে শনিবার দিনভর নানান কর্মসূচীর মধ্যে দিবসটি পালিত হয়। প্রত্যুষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম এবং ২০ নভেম্বর মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মনির আহম্মেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ২১বার তপোধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করে। সকাল সাড়ে ৮টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে বিজয় স্তম্ভে পুষ্প স্তাবক অর্পন শেষে সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে একটি বিজয় র্যালী মহৎপুর সরকারি কবরস্থানে শহীত ইউনুচের মাজার জিয়ারত ও দোয়া করা হয়। সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তনে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মাদ প্রমূখ। বাদ যোহর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও শহীদদের শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী পার্কে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসের সমাপ্তি ঘটে।