
লিটন ঘোষ বাপি: দেবহাটায় চাঞ্চল্যকর জুয়েল হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার ইমরোজ আলী ওরফে চোর ইমরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমরোজকে দেবহাটা থানায় নেয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইমরোজ উপজেলার কোঁড়া পাকড়াতলা এলাকার ইসহাক গাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। বর্তমানে জুয়েল হত্যার সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে ইমরোজ রিমান্ড রয়েছে।
গত ২জুন বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজের বাড়ীর পুকুর পাড়ে দূর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন আশিক হাসান জুয়েল (৩২)। এঘটনায় নিহত জুয়েলের ভাই মেহেদী হাসান রাজু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামী করে দেবহাটা থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-০১) দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যার পর থেকে জুয়েলের কললিস্ট অনুসরণসহ বেশ কিছু বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে রহস্য উদঘাটনে অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে জুয়েলের পরিবারের সদস্য ছাড়াও তার কাছের সঙ্গী ইমরোজ আলী ওরফে ইমরোজ চোর, বাড়ির কাজের লোক আলিম, গৃহপরিচারিকা রওশন আরা, শাখরা কোমরপুরের মিনহাজ, নাংলা নওয়াপাড়ার হারুন বিশ্বাসসহ সর্বশেষ বুধবার নিহতের মামা সাবেক মেম্বর মনি ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক ভোলাকে পৃথক পৃথকভাবে আটকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এদের মধ্যে চোর ইমরোজ আলীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বুধবার শুনানীর দিন ধার্য করে ইমরোজকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে বুধবার নির্ধারিত দিনে শুনানী শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ইমরোজের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলাটির ইনভেষ্টিগেশন অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ বলেন, চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের শিকার জুয়েলের মোবাইল কললিস্ট অনুসরণসহ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ অ্যানালাইসিস, হত্যার স্থান ও উদ্ধারকৃত আলামত বিশ্লেষন, নিহতের পরিবারের সদস্য ও সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।