
স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটায় অবশেষে আদালতের নির্দেশ পেয়ে পুলিশের সহায়তায় দীর্ঘ দিনের চলাচলের রাস্তা ফিরে পেয়েছে এক অসহায় পরিবার। রবিবার (১০ আগস্ট) উপজেলা সদরের মৃত বিলায়েত গাজীর ছেলে আহম্মদ আলীর পরিবার এ চলাচলের রাস্তা ফিরে পেয়ে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছে। জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দেবহাটা মৌজার ১৪৬০ খতিয়ানের দাগ নং-২৪৫৬, ২৪৫৭, ২৪৫৮ ও ২৪৫৯ দাগের সম্পত্তির ৬০ শতাংশের জমিতে যাওয়ার জন্য একটি চলাচলের পথ ছিল। কিন্তু আহম্মদ আলীর ভাই অপরপক্ষ মোহাম্মাদালী ও শাহাজান আলীর সাথে চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরপ্রেক্ষিতে আহম্মদ আলী বাদী হয়ে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদে বিচার প্রার্থনা করেন। গ্রাম্য আদালতে ধার্য দিনে অপরপক্ষ বার বার হাজির না হওয়ায় আহম্মদ আলীর পক্ষে রায় দেয়। এরপর আহম্মদ আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সুবিচারের আবেদন করেন। অভিযোগ পেয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার নিকট তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক ওই কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মাপ-জরিপ করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত খতিয়ানে ০.৬০৭৫ একর জমি আহম্মদ আলীর ভোগদখলকৃত জমিতে যাওয়ার জন্য একটি রাস্তার স্কেচ ম্যাপে পথের নকশা অঙ্কন করে যাতায়াতের পথ তৈরি করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। একই সাথে প্রত্যেকের জমি বুঝিয়ে দিলেও পরবর্তীতে বিবাদী পক্ষ আহম্মদ আলী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। এরপর ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী ৫১৯ নং দলিলে আহম্মদ আলী উক্ত তফসিল ভূক্ত জমি থেকে ০.৫৬৫০ একর জমি কন্যাদের নামে রেষ্ট্রিভূক্ত করে দেন। দলিল মোতাবেক কন্যারা ১৫৯৩ নাম জারি খতিয়ানের অন্তভূক্ত হন। এদিকে উক্ত জমিতে চলাচলের রাস্তা আবারও বন্ধ করে দেওয়ায় আহম্মদ আলীর মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে ১৩৩ ও ১৪২ ধারা মোতাবেক প্রতিকার প্রার্থনা করে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে চলতি বছরের গত ২৮ জুলাই চলাচলের পথ উন্মুক্ত এবং পথে কেউ কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না এই মর্মে ব্যবস্থা নিতে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট দেবহাটা থানা ওসির সহযোগীতায় উক্ত পথ উন্মুক্ত করে পুনরায় চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। এতে ওই পরিবারটির মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। একই সাথে মামলার বাদী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দেবহাটা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।