
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় দূবৃত্তের একটি দল ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি শিশু গাছ কেটে নিয়েছে। একই চক্র বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা বিরাটাকার বিভিন্ন প্রজাতির ৭ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শ্বেতপুর মধ্যপাড়া সরকারি রাস্তার ধারে বেড়ে ওঠা বিরাটাকার ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি শিশু গাছ কেটে নেয় একটি দূবৃত্তের দল। দলটি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আ ব ম মোছাদ্দেক এর ছত্র ছায়ায় চলে। গাছটি সপ্তাহখানেক আগে কেটে নেয় কালাম সরদার, ইমাদুল সানা, আহম্মেদ আলী, শাহিন আলম ও জহিরুল ইসলাম। এদের বাড়ী শ্বেতপুর মধ্যপাড়ায়। এ ঘটনায় স্থানীয় বুধহাটা ভ‚মি অফিসের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলেও প্রভাবশালীদের প্রভাবে চেপে যান। স্থানীয়রা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে, একই চক্র শ্বেতপুর মধ্যপাড়ার নূরুল হুদা, আবু তাহালা ও রেফাউল ইসলামের পৈত্রিক ভিটা থেকে সপ্তাহ খানেক আগে সাতলক্ষ টাকার বিরাটাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়েছে। এ ঘটনায় নূরুল হুদা গংরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।
শ্বেতপুর মধ্যপাড়ার নূরুল হুদা জানান, তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৯ সালে ১৭ নভেম্বর ১১৫/১৯ নং দেওয়ানী আপিল মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিবাদীপক্ষ হলো কালাম সরদার গং। ২৭ শতক ভিটাবাড়ী এবং ২৮ শতক বেড়বাড়ী জমিতে থাকা আমগাছ, কাঠাল গাছ, শিশুগাছ, নিমগাছ, মেহগনি গাছ, ও বেল গাছ কেটে নেয় মামলার বিবাদী পক্ষরা। এসব গাছ কেটে নিয়ে তারা সাতলক্ষ টাকায় বিক্রি করে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। তিনি আরও বলেন, আশাশুনির সহকারী জজ আদালতে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল উপরোক্ত জমি নিয়ে এক তরফা একটি রায় ডিক্রী হয়। উক্ত রায় ডিক্রী জেলা দায়রা জজ আদালতে স্থগিত হয়েছে এবং আদালত ১১৪/১৯ নং আপিল মামলা গ্রহণ করেছেন।