স্পোর্টস ডেস্ক:
রনি তালুকদারের লেগ স্টাম্প ভেঙে গেলো। আদিল রশিদের আরেকটি গুগলি। নাজমুল হোসেন শান্তর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। তবে শান্ত মাথা ঠাণ্ডা রেখে রিভিউ নেন এবং আল্ট্রাএজে ব্যাট ও গ্লাভসে বল লাগতে দেখা যায়। জীবন পান শান্ত। এবারও মাথা ঠাণ্ডা রাখেন, জীবন পেয়ে তা কাজে লাগান শতভাগ। অন্য প্রান্তে লিটন দাস আউট হলে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। যদিও নির্ভার ছিলেন শান্ত।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার তৌহিদ হৃদয় টানা দুটি ছয় মেরে শেষ করেন। পরের ওভারে মার্ক উডকে প্রথম চার বলে ৪টি বাউন্ডারি মারেন শান্ত। ছয় বলে ২৪ রান, ম্যাচ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে যায় বাংলাদেশের হাতে। একই গতিতে না খেললেও বল বুঝে বাউন্ডারি মারেন শান্ত। ১১তম ওভারে ৮২ মিটার দূরত্বের ছক্কা হাঁকিয়ে মোমেন্টাম ধরে রাখেন হৃদয়।
দুজনের ৩৯ বলে ৬৫ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় হৃদয়ের বিদায়ে। ২৭ বলে শান্ত ফিফটি হাঁকিয়ে আর তিন বল খেলেন। ৩০ বলে ৮ চারে ৫১ রান করেন তিনি। জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান দুজন, যার দারুণ ফিনিশিং হয় সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে। ১২ বল হাতে রেখে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন।
ম্যাচসেরার পুরস্কার প্রত্যাশিতভাবে পেয়েছেন শান্ত। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন হৃদয়কে, ‘তৌহিদ ভালো ব্যাট করেছিল। আমি শুধু বল দেখে শট খেলেছি। দুই উইকেট হারিয়ে খুব বেশি বিচলিত হইনি। বোলারদের বল ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে হাসান ও তাসকিন। রনি ও লিটনও ভালো ম্যাচ গড়ে দিয়েছে, টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরুটা আসল।’