কুলিয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুরে গাঁজা সেবন ও তাস খেলা করতে নিষেধ করায় এক চাউল ব্যবসায়ীকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেছে, বর্তমানে সে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সার্জারী ২নং ওর্য়াডে এস-৫ নং বেডে ভর্র্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মাগরিবের নামাজের পরে শ্রীরামপুর হাটখোলায়। আহত চাল ব্যবসায়ীর নাম রফিকুল ইসলাম (৫০)। সে শ্রীরামপুর মৃত্যু আহম্মাদ আলী মেম্বারের ছেলে।
আহত রফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীরামপুর হাটখোলা সংলগ্ন শ্রীরামপুর ফুটবল মাঠ, মাঠের উত্তরে প্রাইমারি স্কুল, স্কুলের পিছনে আমার বসত বাড়ি, তার পাশে আমাদের পারিবারিক কবর স্থান। উক্ত কবরস্থানের পাশের্^ কয়েক বছর যাবৎ এলাকার কিছু বেকার বখাটে যুবক গাঁজা সেবন ও তাস খেলে এবং আড্ডা দেয়। আমি কবরস্থানের পাশে উক্ত কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করা সত্বেও আমার কথা না শুনিলে আমি প্রথমে আমার এলাকার ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানাই। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের অবগত করলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে ফরহাদ গনি (২৭), আবু ছালেকের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৮), মোহাম্মাদ আলির ছেলে মফিজুল ইসলাম (২৬) সহ কিছু বখাটে যুবক শ্রীরামপুর হাটখোলায় আমার চাউলের দোকানের মধ্যে ঢুকে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। তারা চলে যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায।
রক্তাক্ত জখম অবস্থায় একই গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম সহ পাশের্^র লোক জন এসে আমাকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আমি ৩জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপাওে অভিযুক্তদেও সাথে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলেও তাদেও পাওয়া যায়নি।