
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালার সাবেক উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কর্তৃক রাস্তার পার্শ্বে এনজিও’র মাধ্যমে লাগানো ২ কোটি টাকার গাছ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৪০ লাখ টাকায় টেন্ডার দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, উপজেলার শিরাশুনি গ্রামের ছাদের আলী শেখের ছেলে শেখ সোহারব হোসেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৮৩ সালে শিরাশুনি সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের কার্যকরী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ থাকাকালিন তালার ৩টি গ্রামের সরকারি রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি শুরু করি। ইতিমধ্যে আমাদের সংঘটির নাম পরিবর্তন করে সেতু বাংলাদেশ নাম করণ করেন আবুল হোসেন। পরবর্তীতে WFP ১৯৯৩ সালে আমাদের বৃক্ষরোপনকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের সাথে একটি চুক্তি করেন যে, তারাও সরকারি রাস্তার পাশে আমাদের সাথে বৃক্ষরোপন করবে। পরবর্তীতে ওই গাছ থেকে ৬০% পাবে সমিতির উপকারভোগীরা, ২০% পাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও ২০% পাবে সেতু বাংলাদেশ। উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সুফলভোগী হিসেবে উপজেলার শিরাশুনি, শুভাষিনী ও লাউতাড়া গ্রামের ১৭টি গ্রুপ তৈরি করা হয়। বৃক্ষরোপনের পর থেকে গ্রুপের সদস্যরা পরিচর্যা করে আসছিলেন। কিন্তু সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের সাবেক সহ-সভাপতি ও সেতু বাংলাদেশের পরিচালক আবুল হোসেন সুফলভোগীদের বঞ্চিত করে উক্ত গাছগুলো কর্তন করে আত্মসাথের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে আমি ২০১৮ সালে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় আদালত গত ৩০/৬/১৯ তারিখে বিষয়টি পক্ষদ্বয়কে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সমন্বয় পূর্বক বিরোধ নিস্পত্তি করার পরাদর্শ প্রদান করেন। সে মোতাবেক আমি বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিনের কাছে গত ৮/৭/২০১৯ তারিখে গেলে তিনি বলেন, তার বদলীর অর্ডার হয়েছে। তিনি কিছুই করতে পারবো না। অথচ ইউএনও সাজিয়া আফরিন আমাকে বা গ্রুপের কাউকে অবগত না করে অর্থলোভী আবুল হোসেনের সাথে যোগসাজস করে গোপনে তিনি চলে যাওয়ার পূর্বেই প্রায় দেড় হাজার গাছ যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকার অধিক, যা মাত্র ৪০লাখ টাকায় টেন্ডার দেন। এরফলে গাছ পরিচর্যাকারী সুফলভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বঞ্চিত করার পায়তারা চালাচ্ছেন উক্ত অর্থলোভী আবুল হোসেন।
এমতাবন্থায় তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বর্তমান তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সুফলভোগী গ্রুপের সদস্য গোলাম হোসেন মোড়ল ও শফিকুল মোলঙ্গী।