
কিশোর কুমার : তালায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ইটভাটা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে তালার মুন ব্রিকসের মালিক ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জেঠুয়া গ্রামে।
সরজমিনে গিয়ে আনুসন্ধান করতে গেলে জেঠুয়া গ্রামের ছামাদ মোল্লা, সুরঞ্জন হালদার ও শান্ত হালদার জানান, যে উপজেলার জেঠুয়া মৌজার ৮০১নং দাগের খ তফসিল ভুক্ত ১ একর সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকারের ২০১৭সালে বন্দোবস্থ হিসাবে গ্রহন করে শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে জমির দিকে নজর পড়ে স্থানীয় ঐ প্রভাবশালী বাপ্পির দিকে। সে তখন স্থানীয়দের নেতাদের সহযোগিতায় আমাদের প্রাপ্য জমিটা হারি দিতে বাধ্য করায়। আমারা গরীর মানুষ বলে কোথাও গেলে বিচার পাবোনা বলে চুপচাপ বসে নিরবে তার ক্ষমতার দাপট সহ্য করে আসছি। এখানে শেষ নয় দৌরত্ব । তিনি সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ভাটার কাজে ব্যবহারের জন্য একটি টিন সেটের ঘর নির্মান করেছেন।তার ভয় আর ক্ষমতার দাপটে কেহ তার সামনে মুখ খুলতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় শ্মশান কমিটির সভাপতি গোপাল বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দখলদার ঐ বাপ্পি এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও বিত্তবান হওয়ায় কেহ ভয়ে তার সমনে মুখ খুলতে সাহস পায়না। সে আমাদের শ্মশানের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে সেখানে একটি টিন সেটের ঘর নির্মান সহ জনগনের ব্যাবহারিত দীর্ঘদিনের রাস্তাটি দখল করে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আমরা ২০১৮ সালে তালা উপজেলা চেযারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারে কাছে অভিযোগ করলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটুর ওপর দ্বায়িক্ত অর্পন করেন কিন্ত সেখানে বিচারব্যাবস্থাটা খুব একটা ফল প্রসু হয়নি তাই আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি।
বিষয়টা নিয়ে ইট ভাটার মালিক ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২০১৬ সালের ভাটার পূর্বের মালিক মোকাম আলী সরদারের কাছ থেকে ক্রয় করে ভাটাটি পরিচালনা করে আসছি। ভাটার জায়গায় যে শ্মশানের জায়গা দখল করে আসছি সে বিষয়টা সত্য নয়। এক কুচক্রীমহল আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটুর কাছে জানতে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার কাছে কেহ কোন অভিযোগ করেনি। তবে গত বৎসর স্থানীয় শ্মশান কমিটির সাথে ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপ্পির সাথে একটু বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল আমি বিষয়টা মিমাংসা করে দিয়েছিলাম । উক্ত বিষয়টা তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার
ইকবাল হোসেন কে জানাতে চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এমন অবস্থায় এই অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী ইউ এনও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।