
তালা প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কাশিপুর, বড়বিলা, দলুয়া, মাদরা, কলাগাছি, কুলপোতা, বাতুয়া ডাঙা, কৈখালী, ধুকুড়িয়া, বিশ্বাসের চক, সোনাবাধাল, হরিণ খোলা, বাগডাঙ্গা, কৃষ্ণ নগর,বড় গাছা, মাগুরা ডাঙা সহ বিভিন্ন গ্রামের অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ মাদুর শিল্পের উপর জীবিকা নির্বাহ করত।
চাষাবাদের পর মাদুর বুননের মূল কাজটি সাধারণত মহিলারা করতেন। এক্ষেত্রে ধনী ও গরীব বলে কোনো কথা ছিল না।প্রায় প্রতিটি পরিবারে মহিলারা মাদুর বোনায় অভ্যস্ত ছিল। অধিকাংশ পরিবার বাণিজ্যিক ভাবে মেলে ঘাস উৎপাদন করে মাদুর তৈরির পরে বাজারজাত করতো। দুই জন মহিলা প্রতি দিন কম পক্ষে দুটো মাদুর তৈরি করতো।
সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে বড়ো মাদুরের হাট তালা ও দলুয়া বাজারে হতো। এই দুটি বাজার থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, খুলনা ও ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাদুর কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করতো।
মাদুর তৈরির মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হতো মেলে ঘাস ও পাটের সুতা। যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো হস্ত চালিত মাদুর তাঁত। মেলে ঘাসের মাদুর অন্যান্য মাদুরের চেয়ে দামে সস্তা হলেও গরমের সময় শয্যা হিসেবে আরামদায়ক ও শীতল।এই মাদুর সার্বক্ষণিক ব্যবহার করলেও পাঁচ -ছয় বছর পর্যন্ত ভালো ভাবে ব্যবহার করা যেত।
কালের বিবর্তনের ফলে ও মৎস্য ঘেরের ফলে আজ আর মেলে ঘাস তৈরি হয় না মেলের মাদুরও পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আর হাট-বাজারে দুই -একটা মাদুর পেলেও তার দামও অনেক বেশি।