
বিশেষ প্রতিবেদক, তালা থেকে: তালায় ইউপি নির্বাচন বিজয়ী হয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের উপরে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভীত হয়ে পড়েছে তালা সদর ইউনিয়নবাসী। এদিকে বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন জাপার প্রার্থীর সমর্থকরা। নির্বাচন পরবর্তী সহিংষতায় এ পর্যন্ত ৩০ আহতের খবর পাওয়া গেছে।
তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জাপা সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘ সোমবার তালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে ও পোলিং অফিসারদের মাধ্যমে বিজয়ী হন সরদার জাকির। বিজয়ী হওয়ার পরে ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় তার বাহিনী দ্বারা আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, ভাংচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন চলমান আছে। সরদার জাকিরের বাহিনীর হামলায় মহিলা সহ প্রায় ৩০জনআহত হয়েছেন জানান তিনি।
তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জাপা সভাপতি নজরুলের কর্মীরা (নিরাপত্তা শঙ্কায় নাম প্রকাশ করা হলো না) বলেন, ‘ভোটের দিন সকাল হতে তালা সদর ইউনিয়নের আটারই দুটি কেন্দ্র ও জেয়ালা কেন্দ্র দখল দিয়ে পোলিং অফিসার দ্বারা ভোটারদের ভোট দিয়ে নেন নৌকা মার্কায়। কেন্দ্র দখল করে ভোট নেওয়ার কারনে বিজয়ী হয়ে সরদার জাকির এখন আমাদের উপর হামলা করছে তার বাহিনীদ্বারা। আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। ইতোমধ্য তারা মুরাকলিয়া সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালিয়েছেন।’
জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তালা সদর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডে ১০টি নির্বাচনী কেন্দ্র। এর মধ্যে আটারই ২ কেন্দ্র ও জেয়ালা কেন্দ্র সরদার জাকির দখল করে নিয়ে জোর পূর্বক ভোট নিয়ে নেন নৌকায়। অন্য সকল কেন্দ্রে আমি বিজয়ী ও প্রথম হয়েছি। সরদার জাকির কেন্দ্র দখলের মধ্যে বিজয়ী হয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মারপিট করছে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’