
তালায় পৌত্রিক জমি জবরদখল করে কাঁচকলা গাছ ধ্বংস ও জমির মাটি কাটার সময়ে বাধা প্রদান করায় খেরশা ইউনিয়নের শাহজাতপুর গ্রামের মুনসুর আলী মোড়ল ও তার বৌমাকে বেধড়ক মারধর ও দা দিয়ে হাতের কবজিতে কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তামানে মুনসুর আলী ও তার বৌমা তালা হাসপাতালের ভর্তি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৯ মে) সকালে তালার শাহজাতপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মুনসুর আলী মোড়ল জানান , তালায় ৭৯ দাগে পৌত্রিক জমিতে কাচকলা গাছ কেটে নিছে এবং জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার সময় বাধা প্রদান করার সময়ে একই গ্রামের আয়ুব মোড়লের পুত্র সাদ্দাম মোড়ল বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে আমার উপর কিল ঘুসি মারতে থাকে এবং মৃত আমজাদ মোড়লের পুত্র কালাম মোড়ল, সালাম মোড়ল ও মৃত জনাব মোড়লের পুত্র ইনসাফ মোড়ল একত্রে এসে লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার বৌমা রাবেয়া ঠেকাতে আসলে তাকেও মারপিট করতে থাকে এবং তাদের হাতের দা দিয়ে আমাকে কোপ দিলে আমি ঠেকাতে যায় এবং দায়ের কোপ আমার হাতের কবজিতে লাগে।
পুত্রবধু রাবেয়া বেগম জানান, আমাদের জমি তারা জবরদখল করে এবং জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার সময় আমার শশুর বাঁধা প্রদান করিলে তাকে মারতে থাকে। আমি ঠেকাতে গেলে তারা আমার গায়ের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় এবং আমার গায়ে থাকা মেক্সি ছিড়ে দেয়, আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাদের হাতে থাকা সাবল দিয়ে আমাকে বেধড়ক পিটাতে থাকে।
মফিজুর মোড়ল জানান, তারা গায়ের জ্বোরো আমাদের জমি জবরদখল করেছে। জমিতে থাকা তাল গাছ, শিমুল গাছ, মেহগনি গাছ, শিরিস গাছ, গামারি গাছ, নিম গাছ (যার আনুমানিক মুল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা) কেটে নিয়ে গেছে একই এলাকার মৃত আমজেদ মোড়লের পুত্র কালাম মোড়ল, সালাম মোড়ল, কালাম মোড়লের পুত্র আলামিন মোড়ল, মৃত জনাব আলী মোড়লের পুত্র আইয়ুব আলী মোড়ল, ইনসাফ মোড়ল, আইয়ুব মোড়লের পুত্র সাদ্দাম মোড়ল, ইনসাফের পুত্র বাবু মোড়ল। গত মঙ্গলবার ( ২৭ মে) আমার কাচকলা বাগান কেটে ফেলে, যার অধিকাংশ গাছে কলার খান্ধী ছিল। আজ সকালে উক্ত জমি থেকে তারা একত্রে আসিয়া মাটি কাটতে থাকে। আমার পিতা মাটি কাটার বাধা দিলে তার হতে দায়ের কোপ দেয় এবং আমার স্ত্রীকে সাবল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারে এবং গায়ের জামা ছিড়ে দিছে। এই জমিতে গত ২৮ তারিখ বুধবার সাতক্ষীরা বিঙ্গ আদালত ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত সাদ্দাম মোড়লের কাছে মারামারি ও জমি জবরদখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন মারামারি হয়নি, ঘটনা জানতে হলে এখানে আসেন।