জাতীয় ডেস্ক :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান পলাতক। তাঁরা আইনজীবী দিয়ে আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা– সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান।
গত ২৯ মার্চ আসামিদের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। ওই দিন আংশিক শুনানি হয়। আজ তারেক-জোবাইদার পক্ষে মাসুদ তালুকদার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে শুনানিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। দুদকের পক্ষে এসব যুক্তির বিরোধিতা করেন বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আসামিদের আইনের আশ্রয় নিতে কেউ নিষেধ করেননি। উনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে; আর বলবেন– তাঁকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন তিনি। উচ্চ আদালতের সি (আসামি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তাঁরা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেন। আমরা মনে করি, এটা আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান।
এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁরা তা করেননি; নতুন একটি আবেদন করেছেন। আবেদনটি খারিজ করে চার্জ শুনানি শুরু করার অনুরোধ জানান দুদকের এই পিপি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত।
গত ১ নভেম্বর তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নেন একই আদালত। এর পর ১৯ জানুয়ারি তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রায় চার কোটি ৮২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন তারেক ও জোবাইদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।