
আশাশুনি ব্যুরো: ড্যামি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের গাউসুল হোসেন রাজকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আশাশুনি উপজেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ আঃ রশিদ বলেন, বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের হামলা, মামলা, জুলুম নির্যাতন, খুন, গুম, জখম ও অত্যাচারের স্বীকার হয়ে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ২৩০ টির অধিক মামলায় ২০ হাজার নেতাকর্মী নির্বিচারে জেলের প্রকষ্টে অন্তরীন ছিলাম। কয়েক হাজার নেতাকর্মী দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্যান, রিকসা চালিয়ে ছদ্দবেশে অবস্থান করেছি। যে যেখানে অবস্থান করেছি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছি। হামলা, মামলা, খুন, গুম, নির্যাতন করেও আমাদের নেতাকর্মীদের রুখতে পারেনি। কেন্দ্রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাজপথে লড়াকু সৈনিকের মতো অবস্থান করেছি। এমনকি দলের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পাতানো ড্যামি নির্বাচনে অংশ নেইনি। ফলে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকারকে হঠাতে সক্ষম হয়েছি। দেশে গনতান্ত্রিক ধারা রক্ষা করতে সারাদেশে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে সার্স কমিটির মাধ্যমে বিএনপি’র ত্যাগি নেতাকর্মীদের দ্বারা ফরম পুরন করে ওয়ার্ড কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি, উপজেলা কমিটি, জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা নির্যাতিত নেতাকর্মীরা লক্ষ্য করছি অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামে বিতর্কিত ব্যক্তি ড্যামি নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী, কালো টাকার মালিক ফ্যাসিবাদের দোসর “গাউছুল হোসেন রাজ” বিএনপি দলীয় সদস্য ফরম পুরন করে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জেলা বিএনপিকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিষয়টি গোচরে আনছে না। যেখানে ত্যাগি নেতাদের নিয়ে দল ঢেলে সাজানোর কথা সেখানে রাজের মতো কালো টাকার মালিকদের কাছে দল জিম্মি হয়ে পড়েছে। কালো টাকার মালিক ড্যামি নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী আওয়ামী দোসর গাউছুল হোসেন রাজকে দলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে উপজেলার হাজার হাজার ত্যাগি নেতাকর্মী স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে অবসরে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। আমরা খুলনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিনিধি আমান উল্লাহ আমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বর্ষিয়ান জননেতা অনিন্দ ইসরাম অমিত এবং জয়ন্ত কুমার কুন্ডু সহ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এবং সদস্য সচিব সহ সকল যুগ্ম আহবায়কদের জানাতে চাই, কোন অবস্থাতে ড্যামি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী ফ্যাসিবাদীদের দোসর, কালো টাকার মালিক “গাউছুল হোসেন রাজ” যেন এই দলের নূন্যতম কোন সদস্য হতে না পারে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, সাবেক সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন, বিএনপি ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের আব্দুল আলিম, রবিউল আওয়াল ছোট, হাফিজুল ইসলাম, সাদিক আনোয়ার, আক্তারুজ্জামান, আঃ কাদের, লিয়াকত আলী, রুহুল আমিন, হোসেন আলী, সরদার রুহুল আমিন, আছাদুজ্জামান ও মোস্তফা জানান, সার্স কমিটির সদস্য খোরশেদ আলম এর মাধ্যমে রাজকে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। খোরশেদ আলমের ভোটার তালিকায় পরিবারতন্ত্রে ৪৫ জন, আওয়ামীলীগের পদে থাকা ১৩ জন, জাপার পদে থাকা ৮ জন, ড্যামি নির্বাচনে অংশ নেয়া ৭ জন, পাগল ২, মৃতব্যক্তি ২ ও জামায়াতের ২ জন রয়েছে। রাজ একজন স্বর্ণ চোরাচালানী, ভারতীয় মাছের পোনা চোরা কারবারী ও কালোবাজারীর মাধ্যমে তিনি কালো টাকার মালিক হয়েছেন। শোভনালী থেকে একজনকে তার হ্যাচারীতে জোরপূর্বক উঠিয়ে এনে টর্চার সেলে নির্মম নির্যাতনসহ অসংখ্য অপরাধের সাথে তিনি জড়িত। আমরা তাকে গ্রেফতারপূর্বক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি কামনা করছি।