
শেখ এনামুল বাসার টিটো, ডুমুরিয়া (খুলনা): ডুমুরিয়ায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত সফল ফর সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা (SAFAL for Integrated Water Resource Management-IWRM) প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন মাইক্রো ওয়াটারশেড (ছোট খাল) পুনঃখনন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন করলেন জেলা সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম সরদার, বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জামাল ফারুক, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ সামচুজ্জামান, জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, উপজেলা কৃষি অফিসার ইনসাদ ইবনে আমিন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, খুলনার ম্যানেজার মোস্তফা নূরুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ড. এস এম ফেরদৌস ও উত্তরণ-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ ইকবাল হোসেন। ৩০ জুলাই বুধবার উপজেলার পুনঃখননকৃত ১৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কাইনমারা ও ১১৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের ঘুরুনিয়া মাইক্রো ওয়াটারশেড পরিদর্শন করেন জেলা সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম উপস্থিত ছিলেন। মাইক্রো ওয়াটারশেড পরিদর্শনকালে কর্মকর্তারা সলিডারিডাড ও উত্তরণ এর উদ্যোগে গঠিত মাইক্রো ওয়াটারশেড নির্বাহী কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন। পুনঃখননকৃত মাইক্রো ওয়াটারশেডে কিছু নেট পাটা থাকায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জরুরী ভিত্তিতে নেট পাটা অপসারণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য মাইক্রো ওয়াটারশেড নির্বাহী কমিটির সদস্যদের অনুরোধ করেন। মাইক্রো ওয়াটারশেডের সাথে বিদ্যমান ফসলী জমির মালিকদের পক্ষে কাইনমারা মাইক্রো ওয়াটারশেডের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাঈদ এবং ঘুরুনিয়া মাইক্রো ওয়াটারশেডের সভাপতি সরোজ কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক কমলেশ মন্ডল মাইক্রো ওয়াটারশেড পুনঃখননের গুরুত্ব বর্ণনা করেন। কৃষকরা বলেন, মাইক্রো ওয়াটারশেড পুনঃখননের ফলে এলাকায় সবজি ও ধান ফসলে সেচ দেয়া সহজ হয়েছে এবং সেচ খরচ কম হবে। কৃষকরা আরও খাল পুনঃখননের জন্য পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য যে, সলিডারিডাড ও উত্তরণ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ৬টি উপজেলায় ৪৬টি মাইক্রো ওয়াটারশেড পুনঃখনন করেছে। এসব খাল খননের উদ্দেশ্য হচ্ছে-ফসলে ভূপরিস্থ পানির যথাযথ ব্যবহার ও প্রয়োজনে পানি নিস্কাশনের সুযোগ সৃষ্টি করা। অন্যান্যের মধ্যে সলিডারিডাড এর প্রোগ্রাম অফিসার সুব্রত রায়, উত্তরণ এর ওয়াটার ক্লাস্টার অফিসার শুকলা মন্ডল, ওয়াটার ক্লাস্টার ফ্যাসিলিটেটর পলাশ, রাজীব, ইমরান, তানভীর প্রমুখ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য জেলা পর্যায়ের সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের জন্য মাঠ (মাইক্রো ওয়াটারশেড) পরিদর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এর মাধ্যমে কমিটির সদস্যরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন এবং পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও সম্ভবনা সম্পর্কে জানতে পারেন। সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের জন্য মাঠ পরিদর্শন একটি নিয়মিত কার্যক্রম হওয়া উচিত, যা তাদের কাজের মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।