জাতীয় ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি নেতা মোহাম্মদ নোমান। এ কারণে তাকে জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ ও পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ নোমান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ছিলেন।
রোববার (২৮ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১(১)-এর ক ধারা মোতাবেক নোমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রোববার মো. নোমানের অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এ আদেশ ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।
তবে কী কারণে নোমানকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা জানান, মোহাম্মদ নোমান স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এ কারণে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দশম সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) এমপি হয়েছিলেন মোহাম্মদ নোমান। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ১০ দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে সমর্থন জানিয়ে ভোট থেকে সরে যান নোমান।
শহিদ ইসলাম পাপুলকে মানবপাচার ও ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভিসা বাণিজ্য করে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। শহিদ ইসলাম পাপুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফের আলোচনায় আসে গত নির্বাচনে তার সমর্থনে মোহাম্মদ নোমানের ভোট থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি।
জাপার চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় বলেন, নানাবিধ কারণে নোমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস