নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের রাজিব অটো রাইচ মিলের অন্তর্ভুক্ত তুষের লাকড়ির মিলে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) রাত ১টার দিকে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের এক ইউনিট দল চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় এলাকায় আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুষের লাকড়ির মিলের ভিতরটা ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। মিলের ভিতরে এক হাজার মণের অধিক তুষের লাকড়ি ছিল বলে জানা গেছে। মিলের সম্পন্ন টিনের চাল ভেঙে পড়েছে। চারটি বৈদ্যুতিক মটর ও ভিতরে থাকা এক হাজার মণের অধিক তুষ কাঠসহ সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মিলের পাশ্ববর্তী বাসিন্দারা জানান, রাতে আগুনে পোড়া গন্ধ পেয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি পাশে তুষের লাকড়ি মিলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। দেখতে পেয়ে সবাইকে চিৎকার করে ডেকেও লাভ হয়নি। কারণ সেসময় মিলের সাটার দিয়ে তালা লাগানো ছিল। তাৎক্ষণিক মিল মালিক ও ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে জানানো হয়। লাকড়ির মিলে অবস্থিত লাকড়ি তৈরির চারটি মেশিন, তুষ ও লাকড়ি কাঠ সহ অনেক মালামাল পুড়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১০ লাখ টাকা হবে। মিল মালিক কার্ত্তিক চন্দ্র ষোষ জানান, রাত ১১টার দিকে সবকিছু স্বাভাবিক দেখে মিল বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। রাত ১টার দিকে আগুন লাগার খবর শুনে মিলে এসে দেখি আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। পরক্ষণে ফায়ার সার্ভিসের দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে তার তুষের লাকড়ির মিলে আগুন লেগেছে তা তিনি বলতে পারেননা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঘর ও মেশিন এবং মালামাল সহ আনুমানিক ১০ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস এডি সিভিল ডিফেন্স এর সদরের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন রানা জানান, কার্তিক ঘোষের লাকড়ি মিলের আগুন দুই ঘণ্টা ধরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্নয় করা যায়নি।
ঝাউডাঙ্গা বাজারে লাকড়ি মিলে আগুন, ১০ লক্ষ টাকার লাকড়ি পুড়ে ছাঁই
পূর্ববর্তী পোস্ট