
ইমরান সরদার, কলারোয়া: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (ফেসবুক) এক স্ট্যাটাস পেয়ে গত ২৩ জুলাই বন্ধ করে দেওয়া কলারোয়ার মুরারীকাঠি হাবুজেল মোড়ের কালভার্টের মুখ খুলে দিল স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
শুক্রবার ৩০ জুলাই সকালে কলারোয়া পৌর সদরের মুরারিকাটি ৮ নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এই ব্রিজের মুখ খুলে দেন।
খবর পেয়ে ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্তের ৭ নং ওয়ার্ড কৃষকেরা লাঠি শোটা নিয়ে এগিয়ে এলে সেখানে তা সংঘর্ষে রুপ নেওয়ার খবর পেয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি পুলিশ দল সেখানে হাজির হয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমি এখানে মারামারির খবর পেয়ে ছুটে এসেছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনি আরো বলেন- আমি কোন পক্ষ বিপক্ষে কথা বলবো না। এখানে কেহ সংঘর্ষ মারামারির সৃষ্টি করলে তার নামে আমি মামলা দেবো। এখানে যে সমস্যা তা নিরসনে স্থানীয় সরকার দলীয় সকল নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিলেই সমাধান করা সম্ভব একথা যোগ করেন তিনি।
সরকারি কালভার্টে মুখ বন্ধ করার এখতিয়ার কারোর না থাকলেও কালভার্টটি বন্ধ করতে সরকারী কোন কর্মকর্তার লিখিত কিম্বা মৌখিক অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম গায়ের জোরে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেন বালুর বস্তা দিয়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় শিরোনাম হলেও ব্রিজের দক্ষিণ পার্শের কৃষি জমির পরিমান বেশী থাকার অজুহাতে এই কালভার্টটির উত্তর পাশে পানি বন্ধ করে কৃতিম বন্যার সৃষ্টি করেন ঐ শহিদুল এবং তার পুত্র কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ এলাকাবাসীর। কলারোয়া পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কালভার্টের দু’প্রান্তের ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকদের সকল প্রকার হানাহানি, বিশৃঙ্খলা দমনে কলারোয়া থানা পুলিশ সেখানে পাহারারত আছেন বলে জানা যায়।
প্রসংগত ভাবেই ২৯ জুলাই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের এক ফেসবুক আইডি হতে *একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী বিজ্ঞপ্তি*
চলমান অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে / জনদূর্ভোগ লাঘবে সাতক্ষীরা জেলায় সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসারন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় নেট-পাটা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমন খবরে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রিজের মুখ হতে বালুর বস্তা সরিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকেরা।