নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও (জেডিএল’র) নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আগামী ০৬ ফেব্রুয়ারি ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের প্রহসনের নির্বাচন করার পায়তারা’র অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে তীব্র উত্তেজনা ও বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন রেজিঃ নং-খুলনা ২১২৯ এর গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বাতিল ও ভোটার তালিকা সংশোধন পূর্বক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন প্রসঙ্গে সংগঠনের সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর (জেডিএল) এ। সেই অভিযোগের আলোকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন রেজিঃ নং-খুলনা ২১২৯ এর নির্বাচনসহ সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। কিন্তু সেই স্থগিতাদেশের পত্রটি গায়েব করে দেয় একটি চক্র। নির্দেশনা অমান্য করে কোন নিয়ন-নীতির তোয়াক্কা না করে একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থে স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে ০৬ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করার পায়তারা করছে। যেটি ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের কারও কাম্য নয়। গত ১ জানুয়ারি গঠিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তপশীল অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারি প্রাথমিক ভোটর তালিকা প্রকাশ ও ১৬ জানুয়ারি চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে, সেখানে ভোটার তালিকায় ভুল ত্রুটি সংশোধন/আপত্তি প্রদান করার সুযোগ দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ১৮) এর ধারা এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং৭৩৭২/২০১১ এবং ৪৩১৬/২০১৪ এর ০৮/০৭/২০১৪ তারিখের আদেশ মোতাবেক ট্রেড ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালক ও রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন এর তত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। এ বিষয়ে এ দপ্তরের গত ০৬ জানুয়ারী ২০২১ তারিখের ৪০.০২.০০০০.১০৩.৩৪.০৫৬.১৪-২৫/১(৪) নং পত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত উত্থাপিত আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত এবং নির্বাচনী কর্মকান্ডে এ দপ্তরকে সম্পৃক্ত না রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা আইন সম্মত হবেনা বলে উল্লেখ করেন। সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ঘোষিত নির্বাচনী তপশীল স্থগিত করে অনুচ্ছেদ ২ এ বর্ণিত বিধান মোতাবেক নির্বাচন কার্যক্রমে এ দপ্তরকে সম্পৃক্ত রেখে অনুচ্ছেদ ১ এ বর্ণিত অভিযোগ নিষ্পত্তি পূর্বক পরিচালক ও রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন খুলনার তত্বাবধানে ট্রেড ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের সাথে আতাতকারী স্বান্বেষী মহল নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ত্রুটিপুর্ণ ভোটার তালিকা নিয়ে আগামী ০৬ ফেব্রুয়ারি পাতানো ও প্রহসনের নির্বাচন করার পায়তারা করছে। যে কারণে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। ভোমরা সিএন্টএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সচেতন মহলের দাবী শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর (জেডিএল) এর নির্বাচন স্থগিতাদেশ ও নির্দেশনা মেনে সকল অভিযোযের তদন্ত শেষে পরবর্তীতে সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হোক এবং পাতানো নির্বাচন বন্ধসহ যারা এই প্রহসনের নির্বাচনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে এবং এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জেডিএল’র নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের পায়তারা
পূর্ববর্তী পোস্ট