নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদাবাজদের হাত থেকে নিস্তার পেতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. আয়ুব আলী নামে এক বালু ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে তিনি নিজ এলাকায় বালির ব্যবসা পরিচালনা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিছুদিন আগে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আশাশুনির গোদড়া গ্রামের আবুল ফারাহ মো. শফিউল আলমের পুত্র শিবিরের কর্মী মো. মুজাহিদ ও পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র শেখ হাসান গফুর (লিটন) যেয়ে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এসময় ভয়ভিতি দেখিয়ে মুজাহিদ ও হাসান গফুর কৌশলে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি বলেন, ঐঘটনার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর মো. মুজাহিদ ও হাসান গফুর বেলা ১১টার সময় আমার বাড়ীতে এসে চাঁদার বাকী ৪০হাজার টাকা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা না দিতে চাইলে আমার ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দিতে থাকে। এসময় ঐ দুই ব্যাক্তি আমার বসত বাড়িতে এসে আমাকে প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন এবং মারধর করেন। এসময় আমার স্ত্রী মোছা. রপিকা খাতুন ঠেকাইতে আসলে আমার স্ত্রীর গলা চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সদর থানার দারোগা সাহেব মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আমাকে টেলিফোনে বেলা ১২ টার সময় সাতক্ষীরা সদর থানায় আসতে বলে। (২৬ সেপ্টেম্বর) আসার এক পর্যায়ে মো. মুজাহিদ ও শেখ হাসান গফুর আমাকে থানার মধ্যে দাঁড়িয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে আমাকে তারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধনসহ জীবনে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এমনকি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাবে বলে হুমকি দেয়। এরপর থেকে মো. মুজাহিদ ও হাসান গফুর আমার কাছে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে ও মোবাইলের মাধ্যমে চাঁদা দাবি করে আসছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শুধু তাই নয় আমি যাদেরকে স্বাক্ষী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছি তাদের সহ আমার নাম দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক কাহিনী সাজিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে শিবির কর্মী মো. মুজাহিদ। আশাশুনির গোদড়া গ্রামের মোঃ মুজাহিদ একজন নারী লোভী। সে প্রতিনিয়ত বাড়ীতে বিভিন্ন সময় মেয়ে নিয়ে আসে যেটা এলাকাবাসী সবাই জানে এবং আশাশুনি কলেজে পড়াকালীন সময়ে সে শিবিরের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় মুজাহিদের বিরুদ্ধেও মামলা আছে যার নং ১৯৮৫/২৩। শিবির কর্মী মুজাহিদ দীর্ঘ কয়েক বছর বাড়ী ছাড়া হয়ে সাতক্ষীরাতে আত্মগোপন করে শিবিরের কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছে। তিনি বলেন, আমি যাহাতে সুখে শান্তিতে আমার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি। আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তা নিশ্চিত পূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চাঁদাবাজদের হাত থেকে নিস্তার পেতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট