সাতনদী ডেস্ক: কথিত মানবাধিকার কর্মী, নামধারী সাংবাদিক, কথিত ভূমিহীন নেতা, নাম সর্বস্ব খাল-নদী রক্ষা কমিটির সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বিনেরপোতা এলাকার ব্যবসায়ীরা। ইটভাটা, মাছের আড়ৎ, ঘের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে এই চক্রটি। বিনেরপোতা এলাকার ইটভাটা ব্যবসায়ী লিয়াকত ও রানা, ঘের ব্যবসায়ী আশরাফসহ একাধিক ব্যক্তি চাঁদাবাজ চক্রের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিনেরপোতা এলাকার ইটাভাটা মালিক লিয়াকত ও রানা জানান, কথিত মানবাধিকার কর্মী ও নামধারী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একদল মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে এক প্রকার নগ্ন হামলা করে। প্রথমে কাগজপত্র দেখতে চায়, লাইসেন্স আছে কিনা এসব কথা বলে ঘায়েল করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে টাকা দাবী করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে বলে অভিযোগ করে জরিমানা করবো, ভাটা বন্ধ করে দেবো। এই ধরনের চাঁদাবাজ চক্রের কারণে আমরা অতিষ্ঠ।
ঘের মালিক ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী আশরাফ জানান, ভোর বেলা ৩/৪টি মোটরসাইকেলে চেপে ভূমিহীন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে জড়ো হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দিবস এসব কথা বলে টাকা দাবী করে। তাদের চাহিদা মত টাকা না দিলে শুরু হয় হুমকী ধামকি। মাঝে মধ্যে এসে আমাদের কাছে খাওয়ার জন্য মাছও চায়। এদের যন্ত্রনায় আমরা নাজেহাল।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কথিত মানবাধিকার কর্মী, নাম সর্বস্ব সাংবাদিক, কথিত ভূমিহীন ও নদী-খাল রক্ষা কমিটির নামে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ৩/৪টি গ্রুপ পৃথক পৃথকভাবে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহণ করে যাচ্ছে, জেলাব্যাপি চাঁদাবাজি চক্রের নেতৃত্বে আছে শেখ ফারুক, রব, আক্তার, কামরুলসহ আরো ১০ থেকে ১২ জন। প্রতিদিন মোটর সাইকেলে চেপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অত্র অঞ্চল। সাধারন ব্যবসায়ীরা এই দানব বাহিনীর হাত থেকে রক্ষ পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা: পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা
পূর্ববর্তী পোস্ট