
মো: রাকিব, চট্টগ্রাম:
সাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সুপার আম্ফানের আঘাতের সম্ভাবনায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার ৯নং বিপদ সংকেত কেটে ৩নং সতর্কতা সংকেতে নেমে এসেছে। গত মধ্যরাত হতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সর্বনাশা আম্ফান ১৮০-৯০ গতিবেগে চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার কথা থাকলেও সুভাগ্য ক্রমে চট্টগ্রাম কক্সবাজার বড়ধরনের ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা পায়। চট্টগ্রামের বঙ্গবসাগর সংলগ্ন আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজার, চকোরীয়া, মহিষখালী, কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আনোয়াবার, বাঁশখালীতে জরাজির্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাগরের নূনা পানি প্রবেশ করে জ্বলচ্ছাস সৃষ্ঠি হয়েছে। সাগর সংলগ্ন মাঝি মোল্লারা পূর্বথেকে সতর্ক থাকায় ক্ষতি আশঙ্খা থেকে রক্ষা পেয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর আজ সকাল হতে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ কর্ম পরিচালিত হচ্ছে। বন্দকর্তৃপক্ষ জানান যে, চট্টগ্রাম বন্দরের বড় ধরনের ক্ষতি আশঙ্খা ছিল, ক্ষতির থেকে রক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। তাতে বন্দরে রক্ষিত জাহাজ সমূহ নিরাপদে ছিল। কিছু কিছু বড় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের তীরবর্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে কুতুবদিয়া মহিষখালী চ্যানেলে নোঙ্গর করেছিল। ঐ সব জাহাজ সমূহ কোন ধরনের ক্ষতি সাধনের কবলে পড়েনি। চট্টগ্রাম নগরীতে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। পতেঙ্গা এলাকায় ছোটখাট দোকানপাঠ বাতাসের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেলেও আজকে প্রায় সাভাবিক হয়ে গেছে। গত রাত থেকে চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে বেড়িয়েছিল। ৯নং বিপদ সংকেতের কারণে চট্টগ্রামবাসি আতঙ্কে ছিল চট্টগ্রামের প্রশাসন ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আগের থেকে নিয়ে এসেছিলেন। তারাও বিপদ সংকেত কেটে যাওয়ার পর নিজ নিজ অবস্থানে আজকে চলে গিয়েছেন। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত আমফানের আক্রমে চট্টগ্রামে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। একদিকে সাধারণ মানুষ যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি প্রশাসন ছিলেন সতর্ক।