সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: রংপুর মিঠাপুকুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণের পর তার দেবর সোহেল লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর দেবর ও শ্বশুরকে আটক করেছে।
মাত্র ৭ মাস আগে বিয়ে হয় মেয়েটির। এর কিছুদিনের মধ্যে গার্মেন্টস কর্মী স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় চলে যান, সেখানে নিজের জন্য একটি চাকরিও জোটে তার। চাকরির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার পড়লে কয়েকদিন আগে ইমাদপুরে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বুধবার দুপুরে পুলিশ বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। গৃহবধূর দেবর সোহেল ও শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ।
মেয়ের স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণের পর সোহেল তার ভাবীর লাশ ঝুলিয়ে রাখে। তার শরীর ও গোপনাঙ্গে ক্ষত আছে বলে দাবি করেছেন তারা।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ, দেবর সোহেল আগেও গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। ভবিষ্যতে এমনটি হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সোহেল ও তার বাবা।
এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও রংপুর মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।