বুধবার (১৫ এপ্রিল) অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সিদ্দিকা আক্তার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে চাকরি বিধি অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জনসম্মুখে, সংবাদপত্রে বা অন্য কোনও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনও প্রকার আলোচনা, বিবৃতি বা মতামত প্রদান না করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এ বিষয়ে নার্সেস সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘আমরা করোনা রোগীদের সেবা করছি। অথচ না পারছি খেতে, না পারছি ঘুমাতে। না দিচ্ছে কোনও প্রটেকশন। কোনও খোঁজও নেওয়া যাবে না-এটা কোন দেশে বসবাস করি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘এখন কথাও বলা যাবে না বলে ডিজি থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা অন্যায় করবে, আর সে কথা আমরা বলতে পারবো না এ কেমন দেশ? কথা বলাও মুসিবত আমাদের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘কুয়েত মৈত্রী হাসপাতলের নার্সরা খাবার পাচ্ছেন না। এমন অমানবিক অবস্থার পরও আমরা কথা বলতে পারবো না? আমরা সেটা জানাতে পারবো না। তারা রোগীদের সেবা করে স্টোরে ঘুমাবে, রোগীর বেডের নিচে ঘুমাবে এটা নিয়েও কথা বলতে পারবো না। এখন আমরা কোনও মিডিয়াতেও কথা বলতে পারতেছি না। তাহলে আমার মেয়েগুলোর ( নার্স) অবস্থা কেমন হবে বোঝেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার বলেন, ‘কোনও বিশেষ কারণে নয়, সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী কেউ চাইলেই গণমাধ্যমে কথা বলতে পারেন না। মতামতও দিতে পারেন না।, এ চিঠি দিয়ে কেবল সেটুকুই তাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’