
জাতীয় ডেস্ক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের দড়ি বাউশিয়া (বক্তারকান্দি) এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া ( ৬০) ও একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন (১০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া খাগড়াছড়ি পূর্ব মুসলিম পাড়ার আসাদুজ্জামানের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৪০) নামের বাস চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় আহত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাস চালক গিয়াস উদ্দিন। এ সময় চালকসহ মাইক্রোবাসটিতে মোট ছয় জন আরোহী ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ( বক্তারকান্দি) এলাকায় আসলে পিছন থেকে একটি কাভার্ভ ভ্যান মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি উল্টে গিয়ে পাশের ঢাকাগামী লেনে গিয়ে পড়ে। এ সময় খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকাগামী শান্তি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায় মাইক্রোবাসটির দুই আরোহী দুলাল মিয়া এবং হোসাইন। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের অপর চার আরোহী এবং বাসের চালকসহ পাঁচজন আহত হয়। আহতদের অধিকাংশের অবস্থা অশংকাজনক। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালক মো. জহিরুল ইসলাম মারা যায়।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের লাশ এবং দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস ও বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটিকে আটক করেছে তবে চালক ও হেলপার কৌশলে পালিয়ে গেছে।