স্টাফ রিপোর্টার: খোদ রক্ষকই যখন ভক্ষকের ভূমিকায়। তখন সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হবে? বলছিলাম সাতক্ষীরা জেলা শহরের কামাননগর এলাকার কথা। বাড়ির মধ্যে জায়গা নেই তাই বাড়ির সামনের সরকারি কার্পেটিং রাস্তার মাঝখানে বসানো হচ্ছে গভীর নলকুব বা ডিপটিউওয়েল। আর এটি বসাচ্ছেন ক্ষোদ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এড সৈয়দ ইফতেখার আলী। সোমবার গিয়ে দেখা যায় ওই নেতার বাড়ির সামনের রাস্তা বন্ধ করে সেখানে নলকুব বসানোর কাজ চলছে। শ্রমিকরা পুরো রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে নির্বিঘ্নে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় প্রভাব থাকায় রাস্তার মাঝ খানে খুঁড়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। যা খোলা চোখে দেখলেই যে কেউ প্রশ্ন তুলবেনই। কিন্তু কে ডরাই কাকে। চোখের সামনে এতবড় অন্যায় হলেও রাজনৈতিক বড়মাপের ব্যক্তি হওয়ায় কেউ সাহস পায় না প্রতিবাদের। তবে কি দেশের আইনের রক্ষকদের চোখ কি কালো কাপড়ে বাধা। না কি বিএনপি’র নেতা হওয়ায় ভয় পান প্রশাসনের কর্তারা। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর মানুষ চেয়েছিল স্বাধীন ভাবে চলতে, মত প্রকাশ করতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। কিন্তু ধীরে ধীরে কি আওয়ামী লীগের মত আবারও বড় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সব শ্রেণির মানুষ। তাহলে গণঅভ্যুত্থানের কি দরকার ছিল এটাই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মাঝে।
এবিষয়ে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এড সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, বাড়ির ভিতরে জায়গা না থাকায় রাস্তার উপরে ডিপ বসিয়ে মাটির নিচ দিয়ে তা বাড়ির ভিতরে নেওয়া হবে। এরআগে আরও কয়জন একই ভাবে রাস্তার উপর ডিপটিউবওয়েল বসিয়েছেন। রাস্তার জমিটি ব্যক্তিমালিকদের পৌরসভা কাপেটিং করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।