
মোঃ আমজাদ হোসেন মিঠু,শ্যামনগরঃ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলী গ্রাম ও আশ পাশের গ্রামের দরিদ্র কৃষকবৃন্দ কুলতলী বিলে বছরে শুধুমাত্র আমন মৌসুমে ধান চাষ করে থাকে। একটি মাত্র ফষল থেকে দরিদ্র পরিবারগুলি সারা বছরের চালের চাহিদা পূরণ করে। বিলটিতে আনুমানিক ৩০০০
(তিন হাজার) বিঘা জমি জমি চাষ হয়ে থাকে। এলাকার ভ’গর্ভের পানি লবনাক্ত হওয়ার কারনে তা কৃষিকাজে ব্যবহার করা যায় না। তাই বৃষ্টির পানি দিয়েই আমন মৌসুমে ধান চাষ করে এখানকার কৃষকরা। বিলের মধ্যে কুলতলী খাল নামে একটি মাত্র খাল আছে এবং এই খাল দ্বারা এই বৃহত্তর বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু এই খালটির একটি অংশ দখল করে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে ধান চাষে ব্যববহৃত হয় এবং বাকী অংশে অবৈধভাবে মাছ চাষ করার কারনে প্রায় প্রতি বৎসর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়। খালটি জেলেখালি গ্রামের অনন্ত মন্ডলের পুত্র শচীন মন্ডল মুন্সিগঞ্জ মৌজার সিট নং ৬, এসএ দাগ-১৪৭০, ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত কুলতলী খালটির একটি অংশ লীজ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ
গ্রামের সুলতান সানার পুত্র মো: মোস্তফা সানাকে সাবলীজ দেন। মো: মোস্তফা সানা দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবৎ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেন। এতে করে প্রায় প্রতি বছর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘূণিঝড় বুলবুলের কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এই বিলের আমন ধান
প্রায় পানিতে ডুবে আছে। কিন্তু সাবলীজ গ্রহীতা মাছ চাষ করার কারনে পানি নিষ্কাশন করেতে বাঁধা সৃষ্টি করছে। ফলে এই বিলের আমন ধান সম্পূর্ণই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পথে। তাছাড়া এই অংশটি বন্দোবস্ত নিয়ে দখলদারিত্ত্বের কারনে এলাকার কৃষক কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া, প্রাকৃতিক মাছ ধরার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বৎসর বৃষ্টিপাত দেরীতে হওয়ার কারনে আমন মৌসুমে ধানের
চারা তৈরি করার জন্য খাল থেকে পানি নিতে গিয়েছিল এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু লীজ গ্রহিতা তাদের পানি নিতে বাঁধা দেয়। সরজমিনে যাওয়ার পর, এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন এই খাল খেকে পানি নিয়ে ধানের চারা তৈরি করতে পারলে আমরা
এলাকাবাসী ১ (এক) মাস পূর্বে ধান রোপন করতে পারতাম। তাই এসময় তারা খালের লীজ বাতিলপূর্বক অবৈধভাবে মাছ চাষীকে উচ্ছেদ করে জলাবদ্ধতা নিরসন, দরিদ্র কৃষকগনের কৃষি ফসল চাষে সেচ প্রদান, প্রয়োজনমত পানি নিষ্কাশন ও মাছ ধরার
ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন সহকারি ভ’মি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি শ্যামনগর সহকারি কমিশনার ভূমি মহোদয় আমাকে তদঝল্প করতে বলেছেন, আমি তদন্ত পূর্বক সহকারি কমিশনার ভূমি মহোদয়কে জানাবো।এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।