
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামী স্ত্রী দুজনের সংসার। সময়ের বিবর্তনে বয়সের ভারে নুঁইয়ে পড়ছেন দুজনেই। নেই বসবাসের মতো উপযোগী ভালো ঘর, অথচ আত্মতৃপ্তির জন্য বসবাসরত কুঁড়ে ঘরের পাশের জমিটুকু দান করেছেন নব-নির্মিত মসজিদে। এখন স্ত্রীকে নিয়ে বাশেঁর চাঁচের বেড়া ও টিনের ছাউনি দেয়া জরাজীর্ন ঘরটিতে বসবাস করছেন কাছেদ আলী। দারিদ্র্যের টানাপোড়েনে স্ত্রীকে নিয়ে কোন রকমে দিন পার করে আসা গরীব কাছেদ আলী শেষ সম্বল জমিটুকুও মসজিদে দান করে মানুষের সামনে নিজের উদার মনের পরিচয় তুলে ধরেছেন। তিনি দেবহাটা উপজেলার দক্ষিন পারুলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি কাছেদ আলীর দানকৃত জমিতে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মদিনা মসজিদ। এবার নির্মিত সেই মসজিদের পাশেই উদার মনের কাছেদ আলী দম্পত্তিকে বসবাসের জন্য পাকা ঘর নির্মান করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদাউস আলফা। সদ্যনির্মিত মদিনা মসজিদের উদ্বোধনে এসে নিজ চোখে কুঁড়ে ঘরের বাসিন্দা কাছেদ আলীর দুঃখ, দূর্দশা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আলফা। প্রতিশ্রুতি দেন মসজিদের পাশেই কাছেদ আলীকে নির্মান করে দিবেন পাকা ঘর। সে মোতাবেক সোমবার সকাল থেকে মদিনা মসজিদের পশ্চিম পাশে শুরু হয়েছে কাছেদ আলীর জন্য পাকা ঘর নির্মানের কাজ।
বৃদ্ধ কাছেদ আলী বলেন, ‘পাঁকা ঘরে বাস করতে পারবো, এমনটি স্বপ্নে বা জীবদ্দশায় কখনো ভাবিনি। শেষ সম্বল জমিটুকু মসজিদে দান করার পর যখন অনেকেই আমাকে বোকা ও নিঃস্ব বলেছিল তখনো আমি মনোবল হারাইনি। কিছু না থাকলেও কুঁড়ে ঘরে বাস করে আমি ও আমার স্ত্রী যে আত্মতৃপ্তি পেয়েছি সেটা অন্য কেউ উপলব্ধি করতে পারবেনা। সবসময় মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখেছি এবং তার কাছেই বিপদে আশ্রয় চেয়েছি। তবে আমাকে ঘর নির্মান করে দেয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আশাকরি মসজিদের পাশেই স্ত্রীকে নিয়ে জীবনের বাকি সময়টা একটু ভালোভাবে কাটাতে পারবো।