নিজস্ব প্রতিবেদক: কালিগঞ্জের পল্লীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর কান কর্তনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল খালি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর পিতা ও রতনপুর ইউনিয়নের আড়ৎগাছা গ্রামের বাসিন্দা শামছুদ্দিন আলী (৬২) জানান, গত ১০/১২ পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল খালি গ্রামের মুজিবুর মিস্ত্রীর ছেলে আশারাফ হোসেন (৩০) এর সাথে তার মেয়ে মুসলিমা খাতুন’র (২৫) বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও ৪ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তার জামাতা আশারাফ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌতুকও দিয়েছেন বলে জানান।
সম্প্রতি বেশ কিছু যাবত মেয়ের জামাইসহ তার পরিবারের লোকজন নতুন করে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। যার সূত্রধরে গত শনিবার তার মেয়ে মুসলিমা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে বিকেল ৫ টার দিকে তার মেয়ে মুসলিমা খাতুনের উপর ব্যাপকহারে নির্যাতন শুরু করে জামাতা আশারাফ হোসেন মেয়ের শ্বশুর মুজিবুর মিস্ত্রী ও শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন। ওই সময়ে তারা মুসলিমা খাতুনের কানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানের বেশ কিছু অংশ কর্তন করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে মুসলিমা খাতুন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষথেকে থানায় এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।