হাফিজুর রহমান
করোনা ভাইরাস নিয়ে সারাদেশকে যখন ঝুঁকিপূন ঘোষনা করা হয়েছে। অতি জুরুরী কাজ ছাড়া বাহিরে না। সন্ধ্যা ৬ থেকে ভোর ৬টা কোন ভাবেই ঘর ছাড়া যাবে না অমান্য কঠোর সাজা। সব বাঁধা, সব আতংক উপেক্ষা করে বেশ কিছুদিন ধরে কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে এক জঙ্গি প্রতারণ ধর্ম ব্যবসায়ী চক্র উপজেলা জুড়ে গ্রাম গঞ্জের সহজ-সরল ধর্ম ভিরু নারী ও কোমল মতি স্কুল গামী শিশুদের টার্গেট করে প্রতরনার লিফলেট নিয়ে চষে বেড়ালেও এখনো কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
মাথায় টুপি দিয়ে এ প্রতারক চক্র গোপনে বাড়ী বাড়ী গিয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে একটি জুররী খবরের লিফলেট দিয়ে সটকে পড়ছে। লিফলেট পড়ে নারী ও কোমলমতি শিশুরা এক’শ কপি ছাপিয়ে বিতরণে জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। তা না হলে অনেক বড় ক্ষতি হবে এমন আশাঙ্কায়। করোনা ভাইরাসের কারণে হাট-বাজারের ফটোস্টাট ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ থাকলেও বাড়ীতে যেয়ে ডেকে এনে দোকানের শার্টার বন্ধ করে ফটোকপি করার হিড়িক পড়ে গেছে।
সম্পকিত খবর
- লকডাউন না মেনে কালিগঞ্জে জ্বলছে ইটের পাঁজা, চলছে জুয়ার আসর
- বাংলাদেশী রোগী আসা বন্ধ থাকায় বিপন্ন কোলকাতার অর্থনীতি
- আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষা চাই
খোঁজ পেয়ে শুক্রবার বিকালে আনুমানিক ৫টার সময় মৌতলা মাধ্যমিক স্কুল গেটের পাশে অবস্থিত এক ফটোস্টাট দোকানে গেলে এমনি সন্ধান মেলে। সেখানে দেখা যায় মৌতলা খাজরা গ্রামের মান্দার আলির পুত্র মৌতলা সিদ্দিকিয়া মাদ্রসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্র শামিম এক’শ কপি ফটোকপি করার জন্য কথা হয় তার সঙ্গে। সে জানায় একজন হুজুর এসে তাকে সহ তাদের গ্রামের ছোট ছেলে মেয়ে প্রত্যেক বাড়ীতে মহিলাদের একটি করে লিফলেট দিয়ে চলে গেছে। তারা ছাপিয়ে বিলি না করলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে, তাই তারা এই আতংকে বিলি করছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলকাবাসী। নিচে লিফলেটের হুবহু বক্তব্য তুলে ধরা হলো।
…………………………………….একটি জুরুরী খবর……………………………………………….
নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়ে শুনান
এটা একটি সত্য ঘটনা । মদিনা শরীফ থেকে শেখ আহম্মদ এই ওসিয়াতনামা লিখে পাঠিয়েছেন। তিনি জুম্মার দিন রাতে কোরআন শরিফ মসজিদে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যায়। স্বপ্নে তিনি দেখতে পান যে আমাদের বিশ্বনবী ও রাসূল ও সর্বশেষ্ট নবী রাসূল মোহাম্মদ (সাঃ) তার সামনে দাড়িয়ে বলিতেছেন যে এক সপ্তাহের মধ্যে ৭ হাজার লোক মারা গিয়াছে। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন ও ইমানদার লোক পাওয়া যায়নি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করেনি। তিনি আরো বলেন এখন খুব খারাপ সময় এসেছে। এখন স্ত্রী স্বামী খেজমত করেনা। ধনী লোকেরা গরীরদের দেখেনা। দান খয়রত করেনা। যাকাত দেয় না। তিনি আরো বলেন শেখ আহম্মদ তুমি দুনিয়ার লোকদের বলে দাও তারা যেন নেক আমল করে নামাজ রোজা রাখে দান খয়রাত করে। কারণ কিয়ামত খুব কাছে। আকাশের তারা দেখা তওবার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। কোরআন শরীফের অক্ষর উঠে যাবে। সূর্য সোজা গজ উপরে থাকবে। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আরো বলেছেন এই ওসিয়াতনামা অন্য একজনকে পড়ে শুনাবে রোজ কিয়ামতের দিন আমি তাকে জান্নাতে জায়গা করে দিব। এবং যে লোক এর বিপরীতে বলবে। সে খোদার রহমত পাবে না। গরিব লোকের এই পত্র ছাফিয়ে বিতরণ করলে তার আনেক নেকি হবে। শেখ আহম্মদ বলেন যে এই পত্র খানা যদি মিথ্যা হয় তাহলে আমার মৃত্যু যেন কাফেরদের মত হয়। রাসূল বলেছেন রোজা রাখ, নামাজ পড়। যাকাত দাও গরিবদের ভালবাস। যে ব্যাক্তি এই পত্রটি এক’শ কপি ছাফিয়ে বিতরণ করিবেন ৫ দিনের মধ্যে তার ফল পাবে। এক লোক ৫০ খানা ছফিয়ে বিতরণ করেছেন। ফলে তার ব্যবসায় ৪লাখ টাকা লাভ হয়েছে। এক লোক মিথ্যা ভেবেছে। ফলে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। যে রাসূল এর নামে এক’শ কপি কাগজ ছাফিয়ে বিতরণ করবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করবে। সম্পদ দেবে তার মনের ইচ্ছা পূরণ করবে। আর আজ না কাল করে ৪দিন কাটিয়ে দেবে তার ফলাফল খুব খারার হবে। এই বলে রাসূল (সঃ) চলে গেলেন এই কথা সত্য মনে করে এক লোক এক’শ কপি কাগজ ছাফিয়ে বিতরণ করেন একজন মিথ্যা মনে করে ছিড়ে ফেলে দেয় ফলে তার বড় ছেলের মৃত্যু ঘটে । আবুল নামের এক ব্যাক্তি ছাফার নামের এক মাস হয়ে যায়। কিন্তু বিলি করে নাই ফলে তার ক্ষতি হয় এবং তার স্ত্রীর মৃতু হয়। ধান পাড়া গ্রামের ৫জন মিলে ২০ কপি ছাফিয়ে বিলি করার ১ ঘন্টার মধ্যে ১৫ লক্ষ্য টাকার লটারী পায় এখন তার একটি মাজার করবে বলে ভেবেছে। এক রিকশা চালক ৮শ কপি কাগজ ছাফিয়ে ৮দিনের মধ্যে মাটি খুড়ে একটি সোনার কলস পেয়ে কোটিপটি হয়ে যায়। এক ছেলে ছাফার কথা শুনে তার চাকরী হয়ে যায় এবং পরে সে এক’শ কপি ছাফিয়ে বিলি করে। সকলের কাছে বিনীত আবেদন এই যে কাগজটি ছিড়ে ফেলবেন না প্রচার করলে প্রচার করলে অবশ্যই ফল পাবেন। ( ইনশাল্লাহ)
মিথ্যা মনে ছিড়বেন না বা ফেলে দিবেন না