আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার ঘোষ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর কাছে দেয়া অভিযোগ পত্রের সূত্র থেকে জানা গেছে, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার ঘোষের যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন রকম দুর্নীতি অনিয়মের সাথে নিজেকে জড়িয়েছেন। জানা গেছে ২০১৭ সালেও তার বিরুদ্ধে উক্ত স্কুলের একজন অভিভাবক, সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও অনিয়ম দুর্নীতি থেকে থেমে থাকেননি। বরং অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তার ইচ্ছা মতো স্কুল পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তার এই দুর্নীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার সহ্য করতে করতে অভিভাবকদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই তারা একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ১০২ জন অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র জমা দেন। তার দুর্নীতির ধরন হচ্ছে তিনি দেরি করে স্কুলে প্রবেশ করেন, স্কুলের (এসএমসি) স্লিপের টাকা উত্তোলনের পর খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দেন না, মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিলেও কোন অনুষ্ঠান করেননি এবং টাকাও ফেরত দেননি।এছাড়াও কোচিং বাণিজ্য, চারুকলা পরীক্ষার নাম্বার বেশি দেওয়ার নামে টাকা সহ অন্যান্য উপঢৌকন নেওয়া, স্কুলের আয়ত্তে থাকা দোকান ঘরের ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ সহ নানা বিধি-অনিয়ম সাথে জড়িত। তাই স্কুলটাকে বাঁচাতে অভিভাবক মন্ডলীরা একত্রিত হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার ঘোষ এর কাছে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেদের ভিতরে ভুল বোঝাবুঝির কারণে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু অভিভাবকদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত ভিত্তিক তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সঠিক বিচার যেন হয় এবং সে যেন তার ক্ষমতা বলে আইনের কোন (ফাক-ফোকর) দিয়ে বেরিয়ে না যায়।
কালিগঞ্জে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট