
হাফিজুর রহমান: কালিগঞ্জে জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ ও পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রাক্তন শিক্ষক মনোরঞ্জন ঘোষ (৬৮) এবং তার স্ত্রী জোৎস্না রানী ঘোষকে (৫৫) প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবীণ শিক্ষক বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে। গুরুত্বর আহত শিক্ষক মনোরঞ্জন ঘোষ ও তার স্ত্রী জোৎস্না রানী ঘোষকে স্থানীয় গ্রামবাসী উদ্ধার করে ঐ রাতেই কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে।
থানায় অভিযোগের সুত্র এবং ভুক্তভোগী মনোরঞ্জন ঘোষ এবং কৃষ্ণনগর গ্রামের সুশান্ত, সুমন, অনন্ত, ইসমাইল, নুরুল হক সহ একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান, কৃষ্ণনগর গ্রামর মৃত লক্ষীপদ ঘোষের পুত্র কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক মনোরঞ্জন ঘোষের সঙ্গে একই গ্রামের আনছার আলী গাজীর পুত্র মোবারেক গাজী গং এর সঙ্গে জমির সীমানা ও পাওনা ২০ হাজার টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। শুক্রবার সকালে শিক্ষক মনোরঞ্জন ঘোষ তার পাওনা ২০ হাজার টাকা মোবারকের নিকট চাইতে গেলে তাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যায় শিক্ষক মনোরঞ্জন ঘোষ তার জমিতে ঘেরা দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মোবারকের নেতৃত্বে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে শিক্ষক মনোরঞ্জনকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঐসময় তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা থানার সহকারী উপ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।